ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী জান্নাত (১৩)। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ওই বাল্যবিয়ে বন্ধের কাজ শুরু করছিলেন ইউএনও। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসেনের সহযোগিতায় অবশেষে রক্ষা পেল জান্নাত। উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্র জানায়, কালীকচ্ছ ইউনিয়নের সূর্যকান্দি গ্রামের মৃধা বাড়ির তাবারক মৃধার মেয়ে জান্নাত আক্তার। জান্নাত পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়ন করছে। একই ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ গ্রামের জাবেদ মিয়ার ছেলের সাথে শিশু জান্নাতের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করেছিলেন উভয় পরিবার। শুক্রবার ঘটা করে আয়োজন করেছিলেন বিয়ের। দাওয়াতের কাজও সম্পন্ন করেছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাল্যবিয়ের বিষয়টি জেনে যায় নির্বাহী কর্মকর্তা। পুলিশের সহযোগিতায় জান্নাতের বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন ইউএনও। পরে উভয় পরিবারের কর্তা ব্যক্তিরা মোল্লা বিয়ের ব্যবস্থা করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন চারিদিকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি বলেন, কোন না কোন উপায়ে ছেলে মেয়েকে একত্র করবেনই উভয় পরিবার। জান্নাতের বিয়ের সকল আয়োজনের পেছনে কাজ করেছেন সৎ মা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত কোন মেয়েকে বিয়ে দেওয়া দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থী। তাই স্কুল ছাত্রী জান্নাতের বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। কেউ কৌশলে গোপনে বিয়ের কাজে সহযোগিতা করলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।