সময় সকাল ১১টা। কানায় কানায় পুর্ণ শ্রীমঙ্গলের টি রিসোর্ট এ- মিউজিয়াম প্রাঙ্গন। বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, মুক্তিযোদ্ধা, বিএনসিসি, স্কাউট, গার্ল গাইডস, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, রিসোর্ট-কটেজ মালিক, পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, চা-বাগানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সমবেত হন এখানে।
উদ্দ্যেশ্য পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গলের সৌন্দর্য বর্ধন ও পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপন কর্মসুচি। শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শনিবার ব্যতিক্রমী এই বৃক্ষরোপন কর্মসুচিতে লাগানো হলো ১ হাজার গাছ। এর পুর্বে সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিতরন করা হলো একটি ক্রমিক নম্বর। যেটি গাছ লাগিয়ে গাছের মধ্যে নম্বরটি বেঁধে দিতে হবে। পরবর্তীতে সেই গাছে ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী লিখে দেয়া হবে সেই ছাত্র-ছাত্রীর নাম। সেই ছাত্র বা ছাত্রী করবে সেই গাছের দেখভাল ও পরিচর্যা। ভবিষ্যতে সেই হবে এই গাছের মালিক।
সুন্দর ও ব্যতিক্রমী এই আয়োজন উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন।
প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্হায়ী কমিটির সভাপতি ও স্হানীয় সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আবদুস শহীদ এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষক নেতা জহর তরপদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ভাড়াউড়া টি ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার জিএম শিবলী, জেরিন টি এস্টেটের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সেলিম রেজা, শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব, চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হক, মুক্তিযোদ্ধা কুমুদ রঞ্জন দেব, কালীঘাট ইউপি চেয়ারম্যান প্রাণেশ গোয়ালা, ভিক্টোরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অয়ন চৌধুরী প্রমুখ।
পরে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে এবং বর্ণাঢ্য আয়োজনে ফাইভ স্টার হোটেল প্রান্ত থেকে বিটিআরআই পয়েন্ট পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ সমবেত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ লাগাল এক হাজার গাছের চারা।