কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধিতে ভাঙতে শুরু করেছে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার প্রান্তের কাজিপুরা ফেরিঘাট। ফলে মুন্সীগঞ্জ- গজারিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ এবং ঘাট এলাকায় ভাঙন শুরু হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয়রা।
জানা যায়,২০১৮ সালের ৩ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মধ্য দিয়ে
মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া নৌ-রুটে প্রথম বারের মতো ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন করেন। তবে বেহাল সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও যানবাহন সংকটের কারণে পাঁচ মাস চলার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ চার বছর পর ফের ২০২২ সালে ৯ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া নৌ-রুটে ফেরি সার্ভিস'টি উদ্বোধন করেন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস।
বছর যেতে না যেতেই গত কয়েক দিনের টানা বর্ষন ও মেঘনা নদীর পানির স্রােতে গজারিয়ার অংশে কাজিপুরা ফেরিঘাটের পল্টুনের নিচ থেকে বড় বড় মাটির চাপ ধ্বসে নদীতে পড়ছে। এতে ফেরিঘাট এলাকার প্রায় ৫০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে কাজিপুরা ফেরিঘাট এলাকার প্রায় ১০টি পরিবারের বসত ভিটা রয়েছে হুমকিতে।
স্থানীয়রা বলেন,ফেরিঘাট ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কেউ ভাঙ্গন রোধে এগিয়ে আসছে না। ক্রমাগত ভাঙনের কারণে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে তাদরে।
মোটর সাইকেলের চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ফেরি ঘাটে এসে দেখি ফেরি নাই। এখন নারায়ণগঞ্জ দিয়ে ঘুরে মুন্সীগঞ্জে যাচ্ছি। ঘাটটি দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।
কাজিপুরা ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা হাজ্বী আবদুল গাফফার বলেন, বিআইডব্লিউটিএ'র কর্তৃপক্ষ কে জানালে তারা এসে প্লাটুন উঁচ করে দিয়ে যায়। এখনই যদি ভাঙ্গন রোধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেন, কোন যান বহন আর নদী পার হতে পারবে না। অপর দিকে আমাদের বসত বাড়ি রক্ষা করাও কঠিন হয়ে যাবে।
বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক মো. রাসেদুল ইসলাম বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধি ও টানা কয়েক দিনের বর্ষনে ফেরিঘাট এলাকায় কিছু অংশ ভেঙে গেছে। ঘাট যাতে রক্ষা করা যায় সে জন্য আমরা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।
গজারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বলেন, খুব দ্রুত নদীশাসনের কাজ শুরু করতে না পারলে এবারও ভাঙনে গজারিয়ার অনেক অংশ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এতে অনেক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।