তেঁতুলিয়ায় বিদ্যূতের তীব্র লোডশেডিং এ জনজীবনে দূভোর্গ বেড়েছে। গত সপ্তাহ ধরে দিন ও রাতে ঘন্টার পরপর ঘন্টা বিদ্যূতের লোডশেডিং হচ্ছে। এ মাসের শুরুর দিকে লাগাতার তীব্র তাপদাহের পর দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে আবহাওয়ার তাপমাত্রা কমেছে। কিন্তু বৃষ্টি পরবর্তী প্রখর রোদে প্রকৃতির সর্বত্র যেনো ভেসপা গরমে মানুষজন ও প্রাণিকূলের নাবিশ্বাস উঠেছে। তীব্র গরমে শিশু-কিশোর আবাল বণিতা সর্দিজ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। তীব্র গরমে বিদ্যূৎ না থাকায় ঘরে-বাহিরে একটু শীতল বাতাস ও ঠান্ডা আবহাওয়ার জন্য ছটপট করছে। এদিকে ইলেক্ট্রনিক মেশিনারী ব্যবসায়ীরা বিদ্যূতের আপণ্ডডাউন ও দীর্ঘ লোডশেডিং এ অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান এপ্তাহের মত বিদ্যূতের তীব্র লোডশেডিং বিগত দিনেও পড়েনি। এখন বিদ্যূৎ গেলে কমপক্ষে ১ থেকে দেড় ঘন্টা পর আসে। এভাবে ২৪ ঘন্টায় ৫ থেকে ৬ বার বিদ্যূতের লোডশেডিং হচ্ছে।
এদিকে বিদ্যূতের তীব্র লোডশেডিং থাকায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বার্ষিক জুন ক্লোজিং নিয়ে বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিপাকে পড়েছে। বিদ্যূতের অভাবে কম্পিউটার ও ফটোকপিয়ার মেশিনসহ অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক মেশিনারি চালাতে পারছে না। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক সরকারি দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন আসন্ন ঈদুল ফিতর এবং জুন ক্লোজিং নিয়ে বিদ্যূতের অভাবে প্রয়োজনীয় কাজ-কর্ম করতে পারছি না। ফলে অনেক কাজের ফাইলের স্তুপ হয়েছে।
এব্যাপারে তেঁতুলিয়া বিদ্যূৎ সরবরাহ, নেসকো লিমিটেড পঞ্চগড় অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী, সত্যজিদ দেব শর্মা এর নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে বলেন, তেঁতুলিয়া উপজেলায় বিদ্যূতের চাহিদা প্রায় ১১ মেগাওয়াট। কিন্তু জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ রয়েছে ৪ মেগাওয়াট। গোটা উপজেলায় ৭ মেগাওয়াট চাহিদা বিদ্যূৎ ঘাটতির কারণে দিনে ও রাতে ঘনঘন লোডশেডিং পড়ছে। তবে পায়েরা তাপবিদ্যূৎ কেন্দ্রটি চালু হলে লোডশেডিং কিছুটা কমবে।