মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ভ্যান চালক হাসেম আলী হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এরা হলেন, হাসেম আলী প্রতিবেশি আ. জলিল মিয়া ও মো. ওসমান আলী। এই দুইজনকে আটক করে জিগাজ্ঞাবাদ করা হচ্ছে। আটক করা হয়েছে হাসেম আলীর স্ত্রী সুফিয়া আক্তারকেও।
সাটুরিয়া থানা পুলিশ জানায়, নিহত হাসেম আলীর স্ত্রীর সাথে প্রতিবেশি আ. জলিল ও মো. ওসমান আলীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয় চলে আসছিল। গত এক সপ্তাহ ধরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে এ নিয়ে ঝগড়া বিবাদ চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে পরকীয়ার জেরেই এ হত্যা কান্ড ঘটতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে জিগাজ্ঞাবাদে অনেক তথ্যই বেড়িয়ে আসছে। মামলার তদন্ত স্বার্থে অনেক কিছুই বলা যাবে না বলে পুলিশ জানায়।
এ ঘটনায় মো. হাসেম আলীর ছেলে মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। সে জানায়, মার পরকীয়ার বলি হয়েছে তার বাবা হাসেম আলী। যারা এ হত্যা কান্ডের সাথে জরিত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
গত ২৩ জুন ভ্যানচালক হাসেম আলী দরগ্রাম বাজারে সন্ধ্যায় চা খেয়ে বাড়ি ফিরছিল। দরগ্রাম গাছবাড়ির এলাকার তিনশত গজ দুরে ২৪ জুন সকালে তার মরদেহ পাটক্ষেত দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
সাটুরিয়া থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় ভ্যানচালক হাসেমের স্ত্রী সুফিয়া আক্তারসহ আরো দুইজনকে আটক করে জিগাজ্ঞাবাদ চলছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রী সুফিয়া আক্তারের পরকীয়ার বলি হয়েছে ভ্যানচালক। এ বিষয়ে হাসেমের ছেলে মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন।