ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সহোদর ভগ্নিপতি মো. সাইফুল (২১) ধর্ষণ করেছে ৯ বছর বয়সের শ্যালিকাকে। সোমবার দুপুরে উপজেলার শাহজাদাপুর গ্রামে নিজের বসত ঘরে এই কান্ড ঘটিয়েছে সাইফুল। শিশুটির আর্তচিৎকারে এগিয়ে আসেন আশপাশের লোকজন। রক্তক্ষরণের পর অজ্ঞান হয়ে পড়ে ওই শিশুটি। শিশুটিকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার পরই দ্রƒত পালিয়ে গেছে সাইফুল। বিষয়টিকে আইনি প্রক্রিয়ায় না দিয়ে ধামাচাপার চেষ্টা করছেন আরেকটি মহল।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শাহজাদাপুর গ্রামের (মধ্যপাড়ার) নুর ইসলামের ছেলে সাইফুল। বাড়িতে কৃষিকাজ করে। ৫-৬ মাস আগে সাইফুল বিয়ে করেছে একই গ্রামের কোনাপাড়ার মাসুক মিয়া খাদেমের মেয়েকে। সাইফুলের স্ত্রীর সহোদর ছোট বোন ওই শিশুটি। সোমবার দুপুরের দিকে সাইফুলের স্ত্রী রান্না ঘরে পাক করছেন। এ সময় অন্যান্য দিনের মত ওই শিশুটি তার বোনের বসত ঘরে প্রবেশ করে। সাইফুলের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে ওই শিশুটির উপর। শিশুটিকে ঝাপটে ধরে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ করতে থাকে। যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকে শিশুটি। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সাইফুলের স্ত্রী ও প্রতিবেশীরা। শিশুটি তখন অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। সুযোগে পালিয়ে যায় ধর্ষক সাইফুল। শিশুর বোন ও প্রতিবেশীরা দ্রƒত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। ধর্ষণের শিকার শিশুটি বর্তমানে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন আছে। ধর্ষিতার সম্পর্কে চাচা ইউপি সদস্য আবদুল হক বলেন, আমি ধর্ষণের কথাই শুনেছি। ঘটনা মিথ্যা নয়। আমি শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছি। বেলা ২টার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন শাহজাদাপুর ইউনিয়নের বিটের দায়িত্বে থাকা এসআই মো. জসিম উদ্দিন। এস আই জসিম উদ্দিন বলেন, এটা শতভাগ ধর্ষণ। শিশু হওয়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। শিশুটি সাইফুলের শ্যালিকা হওয়ায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিষয়টিকে চাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।