আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের রামদেবকাটি গ্রামে প্রতিপক্ষের রোষাণলে ও উশৃংখলতায় শিক্ষক পরিবার চরম ভাবে বিপর্যস্ত ও নাজেহাল হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তিভূগি প্রতিবেশী ও শিক্ষক পরিবারের সদস্যরা জানান, বিগত ইউপি নির্বাচনে বুধহাটা ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের পরাজিত মহিলা মেম্বার প্রার্থী সবিতা মন্ডল বেশীর ভাগ সময় বাইরে বসবাস করেন। মাঝে মধ্যে বাড়িতে ফিরে প্রতিবেশীদের সাথে অশালীন ও উশৃংখল আচরণ করে থাকেন। নির্বাচনে তাকে ভোট না দেওয়ায় পাশের ভোটারদের হুমকী ধাকমী ও হামলার ঘটনাও ঘটেছে। বাড়ির জমি নিয়ে প্রতিবেশী মহাদেব দিং সাথে দ্বন্দ্ব হলে ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে কয়েক বার জমি মাপজোক করে সীমানা নির্ধারণ করা হয়। মাপে সবিতাদের সীমানার মধ্যে তাদের ৩ শতক জমি পাওনা হলেও তারা মাত্র ১ শতক জমি দাবী করলেও ছাড়তে রাজি হয়নি। এনিয়ে দু’টি মামলা করেছেন। দ্বন্দ্বের জের ধরে গত ২৫ জুন সন্ধ্যা ৬ টার দিকে সবিতা বাড়িতে ফিরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে শিক্ষক সহদেব দাশের স্ত্রী শিক্ষক প্রমিলা, মহাদেব দাশের স্ত্রী অর্চনা নিষেধ করলে তাদের উপর দা লাঠি নিয়ে আক্রমণ করে আহত করে। একপর্যায়ে তারা দা কেড়ে নিলে সীমানার ঘেরাবেড়া ভেঙ্গে নষ্ট করে দেয়। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রাম পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত বছর একই ভাবে দা দিয়ে আক্রমণ করে অমল দাশের ছেলে সৌরব দাশ, মহাদেবের স্ত্রী অর্চনা ও মৃত বিমল দাশের স্ত্রী পদ্মারানীকে জখম করা হয়েছিল। খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ডাবলু গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে দা উদ্ধার করে পরিষদের হেফাজতে রেখেছিলেন। অভিযুক্ত সবিতা চেয়ারম্যান, মেম্বার কাউকে মানতে চায়না। পরিবারটি শান্তিপূর্ণ বসবাস করতে পারে সেজন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক এক প্রত্যয়ন পত্রে জানান, তাদের মধ্যে ভিটাবাড়ি জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ আছে। বিগত নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর সহাদেব কুমার দাশ ও মহাদেব কুমার দাশের উপর আক্রোশে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে লোকজনদের অপদস্থ ও দা নিয়ে হামলা চালালে অর্চনা ও পদ্মারানী আহত হয়। খবর পেয়ে উশৃংখল ও উগ্র সবিতা মন্ডলের দা উদ্ধার করা হয়।