খুলনার পাইকগাছায় গদাইপুর ইউনিয়নের শত শত দুস্থ্য অসহায় মানুষ ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচীর আওতায় সরকারের দেওয়া ১০ কেজি করে চালের কার্ড পেয়েও চাল না পেয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে। মঙ্গলবার ২৭ জুন সকালে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে চালের দাবিতে তারা মানববন্ধন করেন। ভিজিএফ কার্ড পেয়েছে এমন প্রায় তিনশ’ জনকে চাল দেয়া হয়নি বলে মানববন্ধনে ভভুক্তভোগিরা অভিযোগ করেছেন। মানববন্ধনে শহিদুল মোড়ল, রহমত মোড়ল, আবদুল আজিজ, হায়দার আলী, আবদুর রহিম, শওকত আলী, নুর ইসলাম, মিয়াজান, জয়নাল, শাহাবুদ্দীন, আফিল উদ্দীনসহ চাল থেকে বঞ্চিত প্রায় শতাধিক ভুক্তভোগী উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নে ১৮শত জনকে ভিজিএফ কার্ডে দেওয়া হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়া ও সচিব বেলাল হোসেন স্বাক্ষরিত ভিজিএফ কার্ড তৈরী করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান বর্তমানে হজ¦ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ খোরশেদুজ্জামান। কার্ড প্রতি ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। সোমবার ২৬ জুন ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ কার্ডের চাল বিতরণ করা হয়। চাল প্রাপ্তরা বাহিরে এসে মেপে দেখেন সাড়ে সাত, আট, সাড়ে আট ও নয় কেজি করে হয়েছে। বিতরণের শুরু থেকে নানা অনিয়ম, স্বেচারিতা ও চাল ওজনে কম দেওয়া হতে থাকে। উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে ভিজিএফ ও ভিজিডি চাউল ওজনে কম দেওয়া নিয়মে পরিণত হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগিরা দায়িত্বশীল ব্যাক্তিদের অবহিত করে। সকাল থেকে ভিজিএফ কার্ডের চাল নেওয়ার জন্য লোকজন ভীড় করতে থাকে। একসময় ইউনিয়ান পরিষদে লোকে ভরে যায়, ভীড় টেলে সামনে যাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। ভীড় ও গরমে চাল নিতে আসা অনেক মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়ে। সোমবার যে সকল ব্যাক্তি চাল নিতে পারেনি তাদেরকে মঙ্গলবার সকালে দেওয়া হবে বলে পরিষদ থেকে জানানো হয়। কিন্তু মঙ্গলবার ২৭ জুন সকালে চাল না দেওয়ায় ভুক্তভোগিরা চালের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। চাল বঞ্চিতরা গদাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নির্মল অধিকারীকে জানান। আবার গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচিব নির্মল অধিকারীকে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি চাল বঞ্চিত ব্যাক্তিদের নিয়ে আলোচনা করে প্রতিজনকে ৫ কেজি করে দেওয়ার প্রস্তাব করেন। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচিব এ শর্তে রাজী না হওয়ায় ভুক্তভোগী চাল বঞ্চিতরা গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। গদাইপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ খোরশেদুজ্জামান বলেন, আমাকে কোন দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয়নি। সচিব শরিফুল ও নান্টু দেকে নিয়ে চাল বিতরণ করেছেন। এ বিষয় নিয়ে সচিব ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একে অপরকে দোষারোপ করতে থাকে। উপজেলা আ.লীগ নেতা, আইন শৃঙ্খলা কমিটি ও পুলিশিং ফোরাম ইউনিটের সদস্য এম এম আজিজুল হাকিম বলেন, ঈদের ১০ কেজি চাউল ৮, সাড়ে ৮ কেজিও দিয়েছে, অনেকে অভিযোগ করার পরে ইউএনও সাহেব প্রশাসনের লোক পাঠিয়ে খোঁজ খবর নেন, এমনকি সেখানে পুলিশ প্রশাসন ও পাঠাতে হয়েছিলো, তাহলে বোঝেন অবস্থা টা কি। অ্যাড,. এসআর মিঠু মন্তব্য করেন, জাতীর পিতা বলেছিলো মানুষ পাই সোনার খনি আর আমি পেয়েছি চোরের খনি, তাই এদেশে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যাবে না। গদাইপুর ইউনিয়ন ট্যাগ অফিসার অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মীর নূরে আলম সিদ্দিকী’র সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। মানববন্ধনে ভুক্তভোগিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করবেন বলে জানান।