রাজধানীতে ভোর থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই সকাল ৭টার আগেই বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাতে অংশ নিতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিদের ঢল নামে।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল ৭টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। মুকাব্বির ছিলেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম আবদুল হাদী।
সকাল ৮টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির ছিলেন জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ ক্বারী মো. আতাউর রহমান।
এছাড়া, বায়তুল মোকাররমে আরও তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের প্রধান খাদেম মো. শহিদ উল্লাহ।
চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। এতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মাওলানা মো. আনিসুজ্জামান সিকদার। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম হাফেজ মো. রুহুল আমিন।
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বেলা পৌনে ১১টায়। এতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম হাফেজ মো. জহিরুল ইসলাম।
ঈদের নামাজ আদায় শেষে দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোলাকুলি করেন। পাশাপাশি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ঈদ জামাতে দেশের বরেণ্য ব্যক্তিরাও অংশ নিয়েছেন।
নামাজ শেষে দান খয়রাত করেন মুসল্লিরা। মসজিদের সামনে ছিল বিপুল সংখ্যক ভিক্ষুক ও ছিন্নমূল মানুষ। ঈদের জামাত ঘিরে র্যাব, পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ছিলেন তৎপর।
উল্লেখ্য, বায়তুল মোকাররমে ৫টি জামাতে যদি কোনো ইমাম উপস্থিত না থাকেন তবে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মাওলানা জাকির হোসেন।