রাজশাহীর তানোরে পৌর সদরে আনোয়ার হোসেন (৫৫) নামের এক চোলাই মদ সেবন কারীকে কথা কাটাকাটির জেরে গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যার চেষ্টা চালিয়েন আরেক চোলাই মদ সেবনকারী রমজান আলী।
আনোয়ারের বাড়ি তানোর পৌর এলাকার কুঠিপাড়া মহল্লার ইসমাইল প্রামানিকের পুত্র। ঈদুল আযহার দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে কুঠিপাড়া গ্রামের ভিতরে ঘটে চাকু মারার ঘটনাটি।
এঘটনায় মারাত্মক আহত আনোয়ারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরিবার ও প্রতিবেশিরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
চাকু মারার পর চোলাই মদ সেবন কারি রমজান পরিবার নিয়ে পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় কুঠিপাড়া জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে, যে কোন মূহুর্ত্বে রক্তক্ষয়ীর মত সংঘর্ঘের আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, ঈদের দিন বৃহস্পতিবার আহত আনোয়ার ও ছুরি মারা রমজান চোলাই মদ সেবন করে বিকেল থেকে মাতলামু ও কথা কাটাকাটি শুরু বিলের সংযোগ সড়ক সংলগ্ন কপি হাউজ থেকে।
মাতলামু ও কথা কাটাকাটি গালমন্দ করতে করতে কুঠিপাড়া গ্রামে আসেন। এরই একপর্যায়ে আনোয়ারের গলায় চাকু দিয়ে আঘাত করেন রমজান(৪২) নামের চোলাই মদ সেবন কারী। সে মহির উদ্দিনের পুত্র।
আনোয়ারের পরিবারের লোকজন জানায়, কথা কাটাকাটি কিংবা মাতলামু করতেই পারে, তাই বলে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় চাকু মারা লাগবে এটা কোন ধরনের আচরন।
গলায় চাকু মারার সাথে সাথে চিৎকার দিয়ে মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যায় আনোয়ার। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, তারা দুজন প্রায় দিন একসাথে চোলাই মদ সেবন করে থাকেন। হয়তো মদের বিল দেওয়া নিয়ে এমন ঘটনার সুত্রপাত হতে পারে।
আর চোলাই মদ সেবন করলে তারা একপ্রকার মাস্তান হয়ে যায়। তাদের সামনে দাড়ানো যায়না। তবে রমজান কেন গলায় চাকু মারবে, এজন্য তার চরম সাজা হওয়া দরকার।
যদি আনোয়ার মারা যায় তাহলে উভয়ের পরিবারের কি অবস্থা ঘটবে। চাকু মারা রমজানকে দ্রুত আটক না করলে তাকে যেখানে পাবে আহত আনোয়ারের স্বজনরা পেটাবে বা চাকুও মারতে পারে।
এসব ঘটনার কঠোর বিচার হওয়া দরকার। তারাসহ আরো কিছু ব্যক্তি চোলাই মদ সেবন করে প্রায়দিন পালপাড়া মোড় ও কুঠিপাড়ায় মাতলামু করে।
মাতালদের জন্য স্থানীয়রা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে জনগনই কোন না কোন সময় গণধোলাই দিবে। আর থানার পার্শ্বে এসব কিভাবে হয় বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া জানান, ঘটনা সম্পর্কে অজানা, আহতের পরিবারের লোকজন অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এপ্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত আনোয়ারের গলায় সেলায়ের কাজ চলছে।