রাজশাহীর তানোরে বজ্রপাতে ৪ মাসের এক ভরনগাভী ও এক ষাঁড় গরুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩০ জুন) সকাল ৯টার দিকে আকাশে বজ্রপাত ঘটলে গরু দু’টির ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। পরে গরুর মালিকরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল হতে মরা গরু উদ্ধার করে পাশে বড়পুকুর নামকস্থানে পুতে রাখে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তানোর পৌরসভার ৭ নম্বর ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বপার্শ্বে শিবনদ বা বিলকুমরী বিলের ওপারে ‘রহিমাডাঙ্গা নামক’ রয়েছে। ওই মৌজাটি উপজেলার সরনজাই ইউনিয়নের অর্ন্তগত। সেখানে ধানের মাঠে ছেড়ে দেয়া গরু দু’টি চড়ে ঘাঁস খাচ্ছিল। মৃত গরু দু’টির মালিক তানোর পৌরসভার বুরুজ মহল্লার বাসিন্দা মৃত আবদুর রহিমের পুত্র শমো (৫০) ও একই মহল্লার বাসিন্দা মৃত লহর শাহর পুত্র মেহুর শাহ (৫৫)। মারা যাওয়া ওই গরু দু’টির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা বলে জানান স্থানীয়রা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তানোর পৌরসভার চাঁদপুর মহল্লার বাসিন্দা মৃত শহর কারিকরের পুত্র ইসাহাক কারিকার জানান, তানোর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পাশে শিবনদ বা বিলকুমারী বিল। ওই বিলের পূর্বদিকে অবস্থিত সরনজাই ইউনিয়নের আওয়াতাধীন রহিমাডাঙ্গা মৌজা। ওই মৌজায় অবস্থিত তার অগভীর নলকূপের কিছু দূরে গরু দুটি চড়ে ঘাস খাচ্ছিল। এ সময় আকাশে বজ্রপাত ঘটে। পরে ঘটনাস্থলেই গরু দুটি মারা যায়। মরা গরুর একটি ষাঁড় আরেকটি গাভী বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে তানোর পৌরসভার প্যালেন মেয়র ও আট নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওই এলাকার বাসিন্দা আরব আলী বলেন, কোরবানির আগে বজ্রপাতে মৃত ষাঁড় গরুটির দাম ৬২ হাজার টাকা বলেছিল তাও দেয়নি। আর ভরনগাভীটির দাম ৫০ হাজার টাকা হতে পারে। তবে, গরুর মালিকদের এমন ক্ষতিতে কোন দপ্তর হতে সাহায্য পাওয়া যায় কিনা এ ব্যাপারে তিনি চেষ্টা করে দেখবেন বলে জানান কাউন্সিলর।
এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, বজ্রপাতে গরু মৃত্যুর ঘটনা সম্পর্কে অবগত নয়। খোঁজ নিয়ে প্র্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।