টানা ১৫ বছর ধরে নড়াইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির নামে কোরবানি দিচ্ছেন যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সরোয়ার হোসেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও ঈদুল আজহার দ্বিতীয়দিনে শুক্রবার দুপুরে নড়াইলের নড়াগাতি থানার পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের বাগুডাঙ্গায় গ্রামের বাড়িতে একটি গরু কোরবানি দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে আরো পাঁচটি গরু ও একটি ছাগল কোরবানি দিয়েছেন। এ গোশত এলাকার দলীয় নেতাকর্মীসহ দুস্থ ও এতিমদের মাঝে বণ্টন করা হয়েছে।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কাজী সরোয়ার হোসেন বলেন, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে ২০০৯ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির নামে একটি গরু কোরবারি দিয়ে আসছি। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। এ ছাড়া আমার বাবা-মা, দাদা-দাদীসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের পক্ষ থেকে আরো পাঁচটি গরু ও একটি ছাগল কোরবানি দিয়েছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থেকে আমি প্রতিবছর কোরবানি দিয়ে থাকি। কোরবানির এ গোশত নড়াগাতি ও কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও এলাকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে বিতরণ করেছি। এ ছাড়া ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনাসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ূ ও সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়া-মোনাজাত করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ নেতা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নাদিম মাহমুদ, বলেন, সারোয়ার ভাইয়ের এ ধরনের উদ্যোগ; নড়াইলের অন্য নেতাদের মাঝে দেখিনি। এতে এলাকার দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ ভীষণ খুশি হয়েছেন। এছাড়াও দলীয় নেতাকর্মীসহ এলাকার গরিব-দুঃখীদের পাশে সবসময় থাকার চেষ্টা করেন সারোয়ার ভাই।
পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মকিত হোসেন মোল্যা বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নামে কোরবানি দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।
নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন বশির বলেন, যুবলীগ নেতা কাজী সরোয়ার হোসেন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নামে প্রতিবছর যে কোরবানি দিয়ে যাচ্ছেন; এতে দলীয় নেতাকর্মীরা খুশি। আমরা তার সাফল্য কামনা করি।
কালিয়া পৌরসভার মেয়র ওয়াহিদুজ্জামান হীরা বলেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা কাজী সরোয়ার হোসেন সবসময় গণমানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেন। প্রতিবছর দলীয় নেতাকর্মী, পাড়া-প্রতিবেশিদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নামে কোরবানি দিয়ে থাকেন।
এদিকে কাজী সরোয়ার হোসেন রাজনীতি, সমাজসেবা ও ব্যবসায় বিশেষ অবদানের জন্য ইতোমধ্যে স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ জাতীয় পর্যায়ে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন-অ্যাডভোকেট কাজী নাফিউল মজিদ, কালিয়া পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান হীরা, নড়াগাতী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন বশির, পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মল্লিক মাহমুদুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য কাজী রবিউল ইসলাম, জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল মোল্যা, কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন মোল্যা, পহরডাঙ্গা ইউনয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুকিত মোল্যা, বাঐসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম মোল্যা, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ নেতা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নাদিম মাহমুদ, নড়াগাতী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জিয়াউর রশিদ রুপম, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মুকুল বিশ্বাস, পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, নড়াগাতী থানা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজা বেগম, নড়াইল জেলা ছাত্রলীগ সাবেক সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম অন্তর, সাবেক সহ-সভাপতি সরদার তরিকুল ইসলাম, সাবেক সহ-সম্পাদক কাজী নাইম, নড়াগাতী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম পারভেজ, কালিয়া পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত দাশ, রাসেল শেখসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বার ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে, পবিত্র ঈদুল ফিতরে নড়াইল-১ আসনের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে পাঞ্জবি ও শাড়ি পৌঁছে দেন যুবলীগ নেতা কাজী সরোয়ার হোসেন। তিন হাজারের বেশি নেতাকর্মী ও অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার দেয়া হয়। এ ছাড়া ইফতার মাহফিল করেন।
এছাড়া, বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী লোকমান হোসেন ফাউন্ডেশনের ব্যানারেও অসহায় মানুষের মাঝে শাড়ি, লুঙ্গিসহ ঘর নির্মাণের জন্য টিন দেয়া হয়।