এ বছর পাবনার সুজানগরে পানির দরে কোরবানির ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে। অনেকে আবার চামড়া বিক্রি করতে না পেরে চামড়া ব্যবসায়ীদের ফ্রিফ্রি দিয়ে দিয়েছে বলেও জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ বছর কোরবানির গরু ও মহিষের চড়া দামের কারণে উপজেলার সামর্থ্যবান অনেক লোক গরু ও মহিষ কোরবানি না দিয়ে ছাগল কোরবানি দেয়। কিন্তু ছাগলের চামড়া একদম পানির দরে বিক্রি হওয়ায় তারা হতাশ হয়ে পড়েন। উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের আবদুস সুবহান শেখ জানান, কোরবানির ছাগলের চামড়া বিক্রি করা টাকা সমাজের দরিদ্র ও দুঃস্থ মানুষ অথবা এতিম খানায় দান করা হয়। কিন্তু এ বছর প্রতি পিস ছাগলের চামড়া মাত্র ২০থেকে ৩০টাকা দরে বিক্রি করা হয়। অনেকে আবার বিক্রি করতে না পেরে পরিবেশ দূষণ থেকে বাঁচতে চামড়া ব্যবসায়ীদের হাতে ফ্রিফ্রি তুলে দেন। উপজেলার মানিকহাট হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার শিক্ষক মাওঃ মোঃ আখতার হোসেন বলেন স্থানীয় লোকজন বেশ কিছু গরু এবং ছাগলের চামড়া এতিম খানায় দান করেছিল। কিন্তু চামড়া ব্যবসায়ীরা প্রতি পিস গরুর চামড়া ৫থেকে ৬‘শ টাকা দরে নিলেও ছাগলের চামড়ার কোন দামই বলেনি। ফলে নিরুপায় হয়ে ছাগলের চামড়া গুলো মাটির নিচে পুতে রেখেছি। এ ব্যাপারে স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ী বাবু কসাই বলেন দেশের বাজারে গরু ও মহিষের চামড়ার কিছুটা চাহিদা থাকলেও ছাগলের চামড়ার একদম চাহিদা নেই। সেকারণে আমরা চামড়া ব্যবসায়ীরা লোকসানের ভয়ে ছাগলের চামড়া কিনি না।