ঈদের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও কুড়িগ্রাম পৌরসভার রাস্তার পাশে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কোরবানির পশুর বর্জ্য। সময়মতো অপসারণ না করায় বর্জ্যগুলোতে মশা-মাছিসহ বিভিন্ন কীটপতঙ্গ বাসা বেঁধেছে। অন্যদিকে পঁচা এসব বর্জ্যরে তীব্র গন্ধে চারপাশের বাতাস দূষিত হয়ে পড়ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীসহ এলাকাবাসী।
রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুড়িগ্রাম পৌরসভার পুরাতন স্টেশনপাড়া, জলিল বিড়ি মোড় এলাকা, কালীবাড়ি রোড, পুরাতন থানা পাড়া, পুরাতন পোষ্ট অফিসপাড়া, সুজামের মোড়, গাড়িয়াল পাড়া রোড, খলিলগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। অলি-গলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কোরবানীর পশুর উচ্ছিষ্ট বিভিন্ন অংশ। ফলে এসব এলাকার পরিবেশ নোংরা হয়ে পড়েছে।
পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়ার বাসিন্দা আবদুর রউফ বলেন ‘আমার বাসার সামনে কোরবানির বর্জ্যগুলো আজ ইদের দিন থেকে এভাবেই পড়ে আছে। পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকারী কেউ আসে নি এসব নিতে। ভীষণ উৎকট গন্ধ ছড়াচ্ছে।'
কালীবাড়ি রোডের বাসিন্দা শুভ দাস বলেন,‘বাড়ির সামনেই কোরবানির এই বর্জ্যগুলো আজ ৩ দিন হলো এভাবে রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তীব্র দুর্গন্ধ আর মশা-মাছিতে এখানকার পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়েছে।'
সুজামের মোড়ের ব্যাবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন,‘এটা প্রধান সড়ক, প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরণের গাড়ি যাতায়াত করছে। বর্জ্যগুলো গতকালের বৃষ্টির পানিতে আরও পঁচে ছড়িয়ে গেছে। ভীষণ গন্ধে আমাদের নাক চেপে চলাচল করতে হচ্ছে।'
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিবেশবিদ মীর্জা নাসির উদ্দিন বলেন,‘কোরবানির পশুর বর্জ্য সঠিক সময়ে অপসারণ করে মাটি চাপা না দেয়া হলে তাতে অনেক জীবাণু ও ব্যকটেরিয়া জন্ম নেয়। এতে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষিত হয় তেমনি মানুষজন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ে। দ্রুত কোরবানির এসব বর্জ্য অপসারণ করা প্রয়োজন।'
এ নিয়ে কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র কাজিউল ইসলাম বলেন,‘বর্জ্য অপসারণের কাজটি চলমান। অপসারণের বিষয়টি আমার ৯ ওর্য়াডের ৯ জন কাউন্সিলরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের মাধ্যমে বেশিরভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় এখনও বর্জ্য আছে সেখানে পৌরসভার লোকজন কাজ করছে। আশাকরছি দ্রুত সমস্ত বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হবে।'