কলারোয়ায় বঙ্গবন্ধুর নামে পশু কুরবানি দিলেন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন। ঈদের নামাজের পরেই ব্যস্ত হয়ে যায় প্রিয় পশুটি কুরবানির জন্য। মুসলিম জাহানের অন্যতম পবিত্র দিনের মধ্যে এটিও একটা। যে দিনটাতে শরীয়াহ মোতাবেক পশু কুরবানি করেন কেবল আল্লাহ তাআলার রাজি, খুশি, সন্তুষ্ট অর্জনের লক্ষ্যে নিজ নামে বা প্রিয় মানুষটির নামে পশু কুরবানি করেন ইসলাম প্রিয় মানুষেরা। তেমনি ভাবে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামেও পশু কুরবানি দিয়ে তা গরীব মানুষের মাঝে বিতরণ করেন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন। তিনি প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বঙ্গন্ধুর নামে একটি খাসি ছাগল কুরবানি দিলেন। বঙ্গবন্ধুর নামে পশু কুরবানি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের জাতির জনক, আমাদের জাতীর পিতা। ১৯৭৫ সালে তাঁকে স্ব-পরিবারে হত্যা করা হয়। তাঁর শিশু সন্তান শেখ রাসেলকেও বাঁচতে দেয়া হয়নি। পিতার সন্তান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব তাঁর নামে পশু কুরবানি করা। তিনি আরো বলেন-আমি বিগত ২০ বছর ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি করে খাসি ছাগল কুরবানি দিয়ে আসছি। উপজেলা আ.লীগের শীর্ষ এ নেতা আরো বলেন-জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের ভালোবাসা আর শ্রদ্ধায় জড়ানো একটি নাম। যতদিন বেঁচে আছি ততদিন পর্যন্ত জাতির জনকের নামে পশু কুরবানি অব্যহত রাখবেন তিনি। শুক্রবার সকালে উপজেলা আ.লীগ কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় পশু (ছাগল) কোরবানির মাংস গরীব, দুস্থ ও অসহায় মানুষদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বুলবুল, আ.লীগ নেতা প্রধান শিক্ষক বদরুজ্জামান বিপ্লবসহ নেতা-কর্মীবৃন্দ। সব শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান ও সকল মানুষের ওপর শান্তি ও সৌহার্দ্য বর্ষিত হউক এই কামনা করা হয়।