যশোরের ঝিকরগাছায় রোববার সকালে ১১ বস্তা চাল উদ্ধারকে কেন্দ্র করে সরকার দলীয় লোকেরা নিজেদের মধ্যে চাঁলবাজি শুরু করেছেন। ভিজিএফ এর এ চালগুলো ছিল ১০ গ্রাম পুলিশ সদস্য এবং ১ উদ্যোক্তার। ঈদের আগে পাওয়া সরকারি এ চালগুলো তারা রোববার সকালে স্থানীয় চাল ব্যবসায়ী ছুটিপুর বাজারের শফি উদ্দিনের দোকানে বিক্রি করে। সরকার দলীয় একটি পক্ষ অপরপক্ষকে ঘায়েল করতে উপজেলা প্রশাসনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ১১ বস্তা চাল আটক করানো হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার চালগুলো জব্দ করেছেন এবং তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, পবিত্র ঈদুল আযহার আগে দুস্থ মানুষের মাঝে সরকারের ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করা হয়। সে অনুযায়ী ১ নম্বর গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান আমিন ১০ জন গ্রাম পুলিশ সদস্য এবং ১ উদ্যোক্তার মাঝে ১১ বস্তা চাল বিতরণ করেন। চাল গ্রহিতারা ওই চাল রোববার সকালে ছুটিপুর বাজারের ব্যবসায়ী শফিউদ্দিনের নিকট বিক্রি করে। এ সময় আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ অপর পক্ষকে ঘায়েল করতে সরকারি চাল চুরি করে বিক্রির অভিযোগ তুলে স্থানীয় প্রশাসনের নিকট অভিযোগ জানান। উপজেলা প্রশাসন ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ এবং ঝিকরগাছা উপজেলা খাদ্য গুদামের কর্মকর্তাকে দ্রুত ঘটনাস্থলে প্রেরণ করেন এবং চাল গুলো জব্দ করেন। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির নাম গোপন করার শর্তে বলেন, এমপিকে মেজর জেনারেল (অবঃ) ডাক্তার নাসির উদ্দিন কে ঘায়েল করতে তার প্রতিপক্ষরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। যা সরকারের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চাল বিক্রেতা গ্রাম পুলিশের দফাদার নজরুল ইসলাম জানান, আমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে এই চারগুলো পেয়ে স্থানীয় ছুটিপুর বাজারের শফির দোকানে চালগুলো ২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে ১ নম্বর গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান আমিন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পরামর্শে চালগুলো ঈদের আগে ১০ জন গ্রাম পুলিশ সদস্য এবং একজন উদ্যোক্তাকে সর্বমোট ১১ বস্তা ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়। রোববার ২ জুলাই সকালে তারা এই চালগুলো গঙ্গানন্দপুর বাজারের শফির দোকানে বিক্রি করে দেয়। আওয়ামী লীগের একটি অংশ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে স্থানীয় প্রশাসনকে মিথ্যে তথ্য দিয়ে চালগুলো আটক করানো হয়।
এ ব্যাপারে রোববার ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল হক জানান, এ ঘটনায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।তাৎক্ষণিকভাবে আমি ঝিকরগাছা থানার অফিসার্স ইনচার্জ এবং ঝিকরগাছা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে চালগুলো জব্দের ব্যবস্থা করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।