কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার শিংপুর ইউনিয়নের ঘোড়াদিঘা, ছাতিরচর ইউনিয়নের ছাতিরচর গ্রামে বর্ষার প্রবল খরাস্রােতের আঘাতে প্রায় কয়েকযুগ ধরে কয়েকশত বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া নদী বেষ্টিত ঘোড়াদিঘা নদীতে বর্ষার মৌসুমে অবৈধভাবে স্ট্রীল বডি দিয়ে বালি উত্তোলন করার কারণে বাড়িগুলো ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব বালু খেকুড়া স্থানীয় মহলদের ছত্র ছায়া থেকে অদৃশ্য সমিতির নাম করে কাগজপত্র বিহীনভাবে এই ব্যবসা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু রাজনৈতিক ছত্র-ছায়ায় থেকে লোকজনদের বিরুদ্ধে নদীর পাড়ের নিরীহ মানুষ ছন্নছাড়া হয়ে বাড়ি হারিয়ে এখন দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছেন। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, এই নদী বেষ্টিত প্রত্যেক স্ট্রীল বডির মালিকদের নিকট থেকে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার ফুট স্ট্রীল বডি নৌকা বাৎসরিক ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকায় ভাড়া নিয়ে তারা নিকলীর ঘোড়াদিঘা হাওর থেকে নিয়ে করিমগঞ্জের এলাঙ্গা ও মিঠামইনের বিভিন্ন নদী থেকে ৮০ পয়সা ফুট বালু নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। এদিকে এসব ব্যবসায়ীরা স্ট্রীল বডি নৌকা দিয়ে নিকলীর রোদার পুড্ডা বাজার, নগর ব্রীজ সংলগ্ন দুই পাশ ও অফিস পাড়া, দামপাড়া বাজার, মির্জাপুর, বদরপুর, আলিয়াপাড়া বাজার, ৪ টাকা থেকে ৫ টাকা ফুট বালু ক্রয় করে আসছেন। তারা এসব ব্যবসার ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এই ব্যবসাটি বর্ষা মৌসুমে চালিয়ে থাকেন। নদী ভাঙন বিষয়ে নিকলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিলা পারভিনকে মুঠোফোনে এই বিষয়ে বললে তিনি বলেন, এই সরেজমিন গিয়ে দেখবেন বলে উল্লেখ করেন।