ঈদ এলেই মহাসড়কে বাড়ে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা। বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে অবৈধ বিভিন্ন থ্র্রি-হুইলারের (তিন চাকার যানবাহন) সংখ্যা। ঈদের ছুটিতে অনেকে বাড়ি ফিরেছেন। এজন্য ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে বেড়েছে লোক সমাগম। বাড়তি যাত্রী পরিবহনে মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নসিমন, করিমন, ভটভটি এবং ব্যাটারি চালিত রিকশা ও অটোরিকশা।
কালীগঞ্জ ঝিনাইদহ.কালীগঞ্জ-যশোর ও কোটচাদপুর মহাসড়কে বেপরোয়া ভাবে চলাচল করতে দেখা গেছে এসব যানবাহন। অথচ ঈদের সময় মহাসড়কে ওভারটেকিং ও পাল্লা দেওয়ায় দুর্ঘটনার শঙ্কা বাড়ছে। একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে কালীগঞ্জ উপজেলার ্পর দিয়ে যাওয়া মহাসড়কে। প্রতিটি মহাসড়কেই অবাধে চলাচল করছে এসব যানবাহন। আইনের তোয়াক্কা করছেন না চালকরা। আবার কোথাও কোথাও আইন প্রয়োগকারি সংস্থাকে ম্যানেজও করছেন তারা। অথচ ওই সব যানবাহনকে মহাসড়কে সাইড দিতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটে। হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নিজ নিজ এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছে। যেখানে চেকপোস্ট বসানো হয়, চালকরা সেখান দিয়ে খুব একটা চলাচল করে না।
মাত্র এক মাসের ব্যবধানে মহাসড়কে থ্রি হুইলার জানের সাথে সংঘর্ষে প্রান হারায় একাধিক ব্যাক্তি ও আহত হয় অন্তত ২০ জন। ১ জুলাই বেজপাড়া এলাকায় বাস সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই ব্যবসায়ি নিহত এবং আহত হয় ২ জন, ৩ জুন বিষয়খালিতে অধীর নিহত, ৪ জুন কালীগঞ্জ গান্না সড়কের মাধবপুর নামক স্থানে ইজিবাই কে একটি তেলবাহি ট্রাক চাপা দিলে শমসের সমন্ডল নিহত হয়, ৬ জুন কোটচাদপুর এড়ান্দা গ্রামে পাওয়ার ট্রিলালের চাপায় টাইল মিত্রি রিফাত নিহত হয়, ২১ জুন মোচিকের সামনে রহমত আলী নিহত হয়, ২৬ জুন পিরোজপুর নামক স্থানে পিকআপ ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয় ৩ জন,আহত ৫ জন। ২৫ জুন আমতলা নামক স্থানে থ্রি হুইলার ও প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হন দুইজন। ৬ জুন কোটচাঁদপুরে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। ৩০ জুন ট্রাক ইজিবাইক সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও ৮ জন আহত হন। কোটচাদপুর পৌরকলেজের সামনে ইইজবাইক ও ট্রাকের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়, তারা হলো আরাফাত (৮), খুকু মনি (২), সলেমান হোসেন, মশিয়ার রহমান। কালীগঞ্জ গুনজোনগর ইমন ও আজীম নিহত হয়,১৫ জুন শৈলকুপায় বালি ট্রানা পাওয়ার টিলারে জাবুল শেখ নিহত, ৩১ মে মোবারকগঞ্জ চিনিকলের সামনে ট্রাক চাপায় মোজিদ বিশ^াস নিহত হন। কালীগঞ্জ বাজার গোপালপুর সড়কের তিন রাস্তার মোড়ে পিংকি খাতুন(২৮) ও সাদেকুল ইসলাম(৫০) নিহত হয়। এভাবে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর মিছিলে প্রতিনিয়তই যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম।