প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব থেকে অপারগতা প্রকাশ ও অব্যাহতির নিলেও, তাকে প্রিজাইডিং অফিসার দেখিয়ে গোপনে ভোট বিহিন নির্বাচন সম্পুর্ন করার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদকের বিরুদ্ধে। এলাকার ছাত্র অভিভাবকগন সোমবার (৩ জুলাই) উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ী কলিম মাহমুদ (কে এম) উচ্চবিদ্যালয়ে। ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি ও উপজেলা আ.লীগেনেতা এ আই ফয়সাল খান জনি বলেছেন, নিয়মনুযায়ী নির্বাচন করা হয়েছে, কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।
জানাগেছে, বগুড়ার গাবতলী বাগবাড়ী কলিম মাহমুদ (কে এম) উচ্চ বিদ্যালয়ে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারী মাসে এডহক কমিটি গঠিত হয়। ওই কমিটিতে গাবতলী উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক এ আই ফয়সাল খান জনি সভাপতি হন। নিয়মনুযায়ী এডহক কমিটি ৩ মাসের মধ্য বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সকল কার্যক্রম সম্পুর্ন করে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন।
উক্ত বিদ্যালয়ে ১৭ মে উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার মোঃ শহীদুল ইসলামকে প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি ২৪ মে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিত চিঠি দিয়ে জানান, বিদ্যালয়ের নির্বাচন সংক্রান্ত তার কোন পুর্বের অভিজ্ঞতা নেই, আইন কানুন বিধিবিধান বিষয়ে কোন ধারনা নেই, সেকারনে তিনি এই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন।
উপজেলা যুবউন্নয়ন অফিসার মোঃ শহীদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিদ্যালয়ের নির্বাচন সংক্রান্ত আমার কোন অভিজ্ঞতা না থাকায় আমি বাগবাড়ী কলিম মাহমুদ (কে এম) উচ্চবিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব থেকে ২৪ মে অব্যাহতি নিয়েছি। আমি কোন কমিটি গঠনে স্বাক্ষর করিনি, আব্যহতি নেয়ার পর তা, আইনগত বৈধ হবেনা বলেও জানান।
বাগবাড়ী কলিম মাহমুদ (কে এম) উচ্চবিদ্যালয়ে এডহক কমিটির মেয়াদ ২ মাসের কম সময় রয়েছে, যা নিয়নুযায়ী এই এডহক কমিটি কোন ভোট করতে পারবেন না বলে ছাত্র অভিভাবকগন জানিয়েছেন।
বাগবাড়ী কলিম মাহমুদ (কে এম) উচ্চবিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক এ আই ফয়সাল খান জনি বলেন, সকল নিয়ম কানুন মেনে নির্বাচন করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রোকেয়া বেগমের সাথে কথা বললে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি না হলেও সভাপতি জনির বক্তব্যই তার বক্তব্য বলে জানান।