খুলনার ডুমুরিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মৎস্য ঘেরের বাসা ভাংচুর এবং মাছ মেরে নেয়া অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খরসঙ্গ মৌজার সিংগার বিলে।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগী এনামুল হক বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ আবদুল গফফার শেখ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোমবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার টিপনা গ্রামের এনামুল হকের মাতা আছিয়া বেগম এবং দুই খালা সখিনা বেগম ও খাদিজা বেগম পৈত্রিক ওয়ারেশ সূত্রে খরসঙ্গ মৌজার আর, এস ২৮৮ খতিয়ানের ১৭৯০ দাগে ১.৩৭ শতক জমির রেকর্ডীয় মালিক। ওই জমিতে থাকা মৎস্য ঘের তারা দীর্ঘ দিন যাবৎ তাদের আত্মীয় খরসঙ্গ গ্রামের আবদুল গফ্ফার শেখ, মো: হোসেন শেখ ও আবদুল হাই শেখকে হারি চুক্তিতে লীজ দিয়ে আসছিলো। কিন্তু বিবাদীরা চুক্তি মাফিক হারির টাকা নিয়মিত পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় জমির মালিক তিন বোন গত ৩ মে জমি পরিমাপ করে নিজেদের অনুকুলে দখল বুঝে নেয়।
কিন্ত বিষয়টি ভাল ভাবে নেয়নি বিবাদী আ:গফফার শেখ ও তার সহযোগীরা। তারা বিভিন্ন সময়ে বাদীকে ঘের জবর দখল করে নেয়াসহ নানাবিধ হুমকি-ধামকি ভয়ভীতি দিয়ে আসছিলো। পরবর্তিতে বাদীপক্ষ জমিতে থাকা মৎস্য ঘেরে রুই, কাতলা চিংড়ি সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ শুরু করে এবং ঘের পাহারা দিতে সেখানে একটি টিনের ঘরও নির্মাণ করা হয়।
এক পর্যায়ে গত ১ জুন সন্ধ্যায় বিবাদীরা সংঘবদ্ধ হয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ঘেরে প্রবেশ করে মাছ মেরে নেয়াসহ ঘেরের বাসা ভাংচুর করে নিশ্চিহ্ন করে দেয়। এতে প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল গফফার শেখ বলেন, ‘ওই জমি আমরা মৌখিক ক্রয় সূত্রে ১৯৯৬ সাল থেকে ভোগ দখলে আছি‘’। তবে ঘেরের মাছ মারা ও বাসা ভাংচুর করার অভিযোগের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে থানার ডিউটি অফিসার এসআই কেরামত আলী জানান, এনামুল হকের দেয়া একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তি আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।