কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে মো:ইয়াসিন (১৭) বন্ধুদের সাথে পিকনিক করতে গিয়ে পর্যটক বাহি নৌকা থেকে কালী নদীতে পরে নিখোঁজের ২ দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও ভৈরব নৌ-থানা পুলিশ। পরে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে নৌ-থানা পুলিশ। ইয়াছিন কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের পূর্ব গোবরিয়া এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানাযায়,রোববার ২ জুলাই সকালে বন্ধুদের সাথে পিকনিক করতে পর্যটক বাহি নৌকা যোগে দিনব্যাপী ঘোরাফেরা শেষে সন্ধ্যায় ভৈরব -কুলিয়ারচর কালী নদীর উপর অবস্থিত জিল্লুর রহমান সেতুর এলাকায় পৌছে। এ সময় প্রচন্ড বজ্রপাতের সাথে ভারী বর্ষণ ও নৌকায় সাউন্ড বক্স বাজিয়ে হৈ চৈ করছিলো সবাই। এরই এক ফাকেঁ নিহত কিশোর নৌকা থেকে পড়ে নৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজ হয়। পরে খবর পেয়ে ভৈরব নৌ-থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালিয়ে অনেক খোজাঁখোজি করে মঙ্গলবার দুপুর ২ টার দিকে মাঝ নদী থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
ইয়াসিনের বন্ধুরা বলেন, নৌকাটি রোববার সকালে কুলিয়ারচর থেকে অষ্টগ্রামে নৌকা ভ্রমনে যায় তারা। পরে সন্ধার সময় জিল্লুর রহমান সেতুর নিচে নৌকা থেকে এক পর্যায়ে নদীতে পড়ে যায়।
ইয়াছিনের বাবা বাচ্চু মিয়া বলেন, তার ১ ছেলে ও ১ মেয়ের মধ্যে ইয়াসিন ছোট। ইয়াসিন স্থানীয় একটি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখা-পড়া করেছে। সে একজন মুদি দোকানদার। তাই সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে ইয়াসিনকে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা ছিলো। কিন্তু বয়স কম হওয়ায় আগামী বছর বিদেশে পাঠানোর সব প্রস্তুতি ছিলো। হঠাৎ করে কি যে হয়ে গেল। সব স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেলো।
তিনি আরো জানান, রোববারে সন্ধা ৬ টার সময় আমার ছেলের সাথে মোবাইল ফোনে আমার মেয়ের কথা হয়েছে যে, তারা নৌকা ভ্রমন থেকে চলে আসতেছে। কিন্তু আবার ৭টার সময় মোবাইল ফোনে খবর আসে,ইয়াসিনের সমস্যা হয়ছে, তাড়াতাড়ি আসতে হবে। পরে এসে দেখি ইয়াসিন নিখোঁজ।
এ বিষয়ে ভৈরব নৌ-থানার ইনচার্জ মো.রফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে জানায়,রোববার রাত সাড়ে নয়টার সময় সংবাদ পায় নৌকা ভ্রমন শেষে কয়েকজন কিশোররা জিল্লুর রহমান সেতুর নিচে কালী নদীতে নৌকা থেকে পড়ে কিশোর ইয়াছিন নিখোঁজ হয়েছে। আমরা ভৈরব ও কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব থানা,কুলিয়ারচর থানায় খবর দেয়। রোববার থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করে মঙ্গলবার দুপুরে কালী নদীর মাঝ খান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।