লোকসানের অজুহাতে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ রেখেছেন আমদানিকারকরা। ঈদের ছুটির শেষে সোমবার বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হলেও ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আসেনি। ব্যবসায়ীরা বলছেন দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমে যাওয়ার কারণে আমদানি বন্ধ রেখেছেন তারা। মঙ্গলবার ফের কেজিতে বেড়েছে ১২০ টাকা।
টানা ৬ দিন ঈদুল আজহার ছুটি শেষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সোমবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১ টায় ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মাঝে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়। দিনব্যাপি আমদানি হলেও প্রথম ও আজ দ্বিতীয় দিনেও কাঁচামরিচ আমদানি হয়নি এই বন্দর দিয়ে।
মঙ্গলবার (৪জুলাই) হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে,কাঁচামালের দোকানগুলোতে কাঁচা মরিচ সরববাহ কম থাকলেও দেশীয় কাঁচা মরিচ কেজিতে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা সোমবার খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা কেজি দরে। তিন দিন আগে সেই কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে।
কাঁচা মরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন,কাঁচা পণ্য সকালে বাড়ে বিকেলে কমে। আমরা বেশি দামে কিনলেই বেশি বিক্রি করি,আবার কম দামে কিনলে কম দামেই বিক্রি করে থাকি।সরবরাহ বেশি থাকলে দাম কিছুটা কম হয়।এখন সরববাহ কমে গেছে তাই দাম বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন,সোমবার পাঁচবিবি বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচের পাইকারি দাম ছিল ১৯০ টাকা আর খুচরা ছিল থেকে ২০০ টাকা। মঙ্গলবার পাঁচবিবি বাজারে সেই কাঁচা মরিচ পাইকারী ২৮০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। আর খুচরা বিক্রয় করছি ৩২০ টাকা। মোকামগুলোতে পাইকারী বাজারেই প্রতিকেজিতে একদিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১২০ টাকা।এক মন কাঁচা মরিচ কিনে নিয়ে আসলে ৩ থেকে ৪ কেজি নষ্ট হয়ে যায়।
এদিকে হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংঘনিরোধ কেন্দ্রের উপণ্ডসহকারী মো.ইউসুফ আলী জানান,গেলো বছরের ২৪ আগস্ট থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ ছিল। গত রোববার ( ২৫ জুন) সরকার আবারও কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেন। এর ফলে সোমবার ( ২৬ জুন ) হিলি বন্দর দিয়ে ভারতীয় পাঁচটি ট্রাকে ২৭ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়।
তিনি আরও বলেন,এই বন্দরের ১৩ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এ পর্যন্ত সাড়ে ৪ হাজার মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।