বগুড়ার গাবতলীতে খয়রাতি ভিজিএফ’র চাল আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে দুর্গাহাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহীদুল কবীর টনির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিন সদস্য’র একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। ৩ কর্ম দিবসের মধ্য কমিটিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
জানাগেছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার দূর্গাহাটা ইউনিয়নে ২৬‘শ ১০জন অতিদরিদ্র ও অসহায় দুস্থ পরিবারের কার্ড প্রতি ১০ কেজি করে চাল বিনামুল্যে বিতরনের জন্য ২৬ দশমিক ১০ মেট্রিক টন চালের ছাড়পত্র প্রদান করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন, এান ও পুনর্বাসন অফিস। ২৫জুন চেয়ারম্যান সরকারি গোডাউন থেকে চালগুলো উত্তোলন করেন এবং ২৭ জুন বিতরণ করেন।
২৮জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আফতাবুজ্জামান আল-ইমরান গোপনে জানতে পারেন, চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করার উদ্দেশে পরিষদের গুদামে বিপুল পরিমার চাল সংরক্ষন করেছেন, রাতের আঁধারে চাল গুলো সরানোর চেষ্টা করছেন।
খবর প্রাপ্তিরপর তিনি সরজমিনে পরিদর্শনের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মাহমুদুল হাসানকে নির্দেশ দেন। তিনি দুর্গাহাটা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে গুদামে দেখতে পান সেখানে ৩০ কেজি ওজনের ভিজিএফ’র ২২৮ বস্তা চাল রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবগতি ব্যাতিত গুদামে চাল সংরক্ষন করা আত্মসাৎ এর চেষ্টা বলে প্রতিয়মান হওয়ায় তা দতন্ত কমিটি গঠন করে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
তদন্ত কমিটিতে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ নাঈম হোসেনকে আহ্বায়ক করে, উপজেলা পল্লিউন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম ও উপজেলা প্রোগ্রাম (আইসিটি) কর্মকর্তা মোঃ আল-আমিনকে সদস্য করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে ৩ কর্মদিবসের মধ্য তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আফতাবুজ্জামান আল-ইমরান’র সাথে কথা বললে, তিনি দুর্গাহাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক ভিজিএফ’র চাল আত্মসাৎ’র চেষ্টার বিষয়ে ৩ সদস্য’র তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চাল বিতরণের মাষ্টার রোল ও ষ্ট্রক রেজিষ্টার জব্দ করা হয়েছে। তদন্তে চাল আত্মসাৎ করার চেষ্টার সত্যতা পাওয়া গেলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দুর্গাহাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীদুল কবীর টনি ও দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, চাল বিতরণের জন্য শ্লিপ দেয়া হয়েছিল, শ্লিপ গ্রহনকারীরা বিতরনের দিন না আসায় চালগুলো গুদামে রয়ে গেছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্ত কমিটি করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত চাল আত্মসাৎ’র বিষয়টি নিয়ে কোন মন্তব্য করা যাবেনা।
এলাকার সাধারন মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, তারা চেয়ারম্যানের চাল আত্মসাৎ’র চেষ্টাসহ বিভিন্ন প্রকল্প, টিসিবি ও কর্মসুচির বিভিন্ন অনিয়মের তদন্ত দাবী করেছেন।