নোয়াখালীর সেনবাগ থানার পুলিশ উপজেলার কানকিরহাট বাজারের ইতালি মার্কেট সংলগ্ন নুরুল হকের বাড়ির স্যাটার বন্ধ দোকান থেকে হেকিম মোঃ আব্দুল গফুর (৭০)নামের এক কবিরাজের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে। সোমবার রাত ৯টারদিকে সাটার বন্ধ দোকান ঘর থেকে পচাঁ দুরগন্ধ বের হলে স্থানীয় লোকজন উঁকি দিয়ে দেখেন কবিরাজের লাশ বিবস্ত্র অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে। পরে সেনবাগ থানা পুলিশকে খবর দিলে থানার এসআই আবদুল আলিমের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌছে অর্ধগলিত ও বিবস্ত্র লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এবং মঙ্গলবার সকাল ময়নাদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালর মর্গে প্রেরণ করা হবে।
নিহত আবদুল গফুর উপজেলার ২নং কেশারপাড় ইউপির ৭নং ওয়ার্ডে দিঘীরপাড় হাতেম ব্যাপারী প্রকাশ বারেক হাজ্বী বাড়ির মৃত আহাজর আলী ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায় নিহত হেকিম আবদুল গফুর বিগত ১৫/২০ বছ যাবত কেশারপাড় ইউপির কানকিরহাট বাজারস্থ ইতালি মার্কেট সংলগ্ন জৈনক নুরুল হকের টিন সেড দোকান ভাড়া নিয়ে সেখানে কবিরাজি করতেন। মাঝে মধ্যে বাড়িতে যেতেন। তবে,তিনি দোকান ঘরেই বসবাস করতেন। গত ২৮ জুন সর্বশেষ তিনি বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ফের বিকেলে দোকানে চলে আসেন। এরপর থেকে তার মোবাইলফোনে কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননী। সোমবার সন্ধ্যায় সাটার বন্ধ দোকারঘর থেকে পচাঁ দুরগন্ধ বের হলে পথচারিরা দোকানে উঁকি দিখেন দোকানের মেঝেতে বিবস্ত্র অবস্থায় কবিরাজ আবদুল গফুরের লাশ পড়ে রয়েছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে স্যাটার ভেঙ্গে ভিতরে ডুকে আবদুল গফুরের অর্ধগলিত বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করে। তার স্ত্রী ও চার ছেলে এবং দুই মেয়ে রয়েছে সবাই বিবাহিত।
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে (৫/৬ দিন পূর্বে) স্টোকজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লাশ উদ্ধারের সময় দোকানে লাইট ও একটি টেবিল ফ্যান চলছিলো। এ ঘটনায় মৃতের ছেলে মোঃ খোকন সেনবাগ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে।