রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নে ভিজিএফ এর চাল না কিনেও চাল ক্রয় মামলার আসামি হতে হয়েছে একরামুল(৫৫)কে। পাশাপাশি যারা উপকারভোগীদের কাছে সরাসরি চাল ক্রয় করে ছিল,তাদের মধ্যে বাবলু মিয়া ,মোন্নাফ হোসেন, মোঃ মনু মিয়া,মোশারফ ব্যাপারী,নজরুল,মোবাশ্বের,আব্দুল বারী সম্পুর্ন ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়,ঈদুল আযহা উপলক্ষে গত ২৫ জুন সরকারি নির্দেশ মোতাবেক প্রত্যেক উপকারভোগীকে ১০ কেজি হারে চাল বিতরন করা হয়। যাতে ওজনে কম না যায় সেজন্য ৩ জন উপকারভোগীকে একত্র করে ৩০ কেজি ওজনের ১ বস্তা চাল সরবরাহ দেয়া হয়েছে। অনেক উপকারভোগীই চাল উত্তোলনের পর স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেন। স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী সম্মিলিতভাবে ৯৬ চাল সংগ্রহের পর তা সাল্টি গ্রামের জনৈক একরামুলের বাড়িতে স্তুপ করে রাখেন। এ সময় অবশ্য একরামুল ও তার স্ত্রী কেউই বাড়িতে ছিলেন না। এদিকে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে ফাঁসাতে ও পারিবারিক শত্রুতা হাসিলের উদ্দেশ্যে একটি চক্র এ ঘটনাকে রাষ্ট্র বানিয়ে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চালগুলো আটকের পর যথারীতি থানায় জমা দিয়ে গত ২৭ জুন ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের২৫(১)ধারায় মামলা রুজু করা হয়। এতে বাড়ির মালিক একরামুল,তার জামাতা রেজাউল করিম,হাকিম মিয়া,মোঃ শাহ আলম মিয়াকে আসামি করা হয়েছে। অথচ চাল ব্যাবসায়ীদের কারো নাম আসামীদের তালিকায় নেই। এ ঘটনায় এলাকাবাসী বিস্মিত হয়েছেন। তারা ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন পুর্বক দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।