বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য, রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেত্রী নগরীর শালবন নিবাসী হাসনা চৌধুরী আর নেই। তার জানাজার নামাজ বুধবার দুপুর ২টায় রংপুর নগরীর আরসিসিআই পাবলিক স্কুল এ- কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। পরে নুরপুর বড় কবরস্থানে তার দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়। জানাজার নমাজে উপস্থিত ছিলেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব মোঃ মোস্তাাফিজার রহমান মোস্তফা, সিপিবি রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা কমরেড শাহাদত হোসেন, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মোঃ রেজাউল করিম মুকুল, সাংবাদিব জয়নাল আবেদীন সহ বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ ও মুসল্লিগন। এর আগে সকাল ১১টায় নগরীর স্টেশন রোডস্থ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পাটি-সিপিবি কার্যালয়ে তাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এদিকে হাসনা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন রংপুর প্রেসক্লাব, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি, যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন ও মহিলা পরিষদ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক এবং নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি স্বামী সিপিবি রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা কমরেড শাহাদত হোসেন, এক ছেলে, পূত্রবধু, নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহি রেখে গেছেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫৪ সালের ১৫ জুন কুড়িগ্রাম জেলার কাঁঠালবাড়ি দেবালয় গ্রামের এক সম্ভান্ত্র পরিবারে হাসনা চৌধুরীর জন্ম। তার পিতার নাম আকবর আলী চৌধুরী। কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন তিনি। ১৯৭৪ সালে তিনি রংপুরের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত হোসেনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। পরে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চাকুরিতে যোগদান করেন। ২০১১ সালে তিনি চাকুরী থেকে অবসর গ্রহন করেন। তিনি বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য, রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি, জেলা সিপিবি’র সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। রংপুর ও জাতীয় পর্যায়ে নারী অধিকার আদায় সহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সফল নেত্রী হিসাবে নিজে উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি ট্রেড ইউনিয়নের নেত্রী হিসাবে কাজ করেছেন।