নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ও কুল্লাগড়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে দেখা দিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি।
গত মঙ্গলবার থেকে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টির সঙ্গে বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও সোমেশ্বরীর পাশাপাশি নেতাই নদীর পানি প্রবেশ করে উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের বন্দউষান,আটলা,নন্দেরছটি,হাতিমারাকান্দা,ভাদুয়া,নাওধারা,জাগিরপাড়া,গাঁওকান্দিয়া ও কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বিলকাঁকড়াকান্দা,লোহাচরা,বন্দ কাটুরী,পলাশগড়া,মুন্সিপাড়াসহ বেশকয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,মাঠ-ঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘর-বাড়ির চার পাশেই পানি। গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে রয়েছে পানিবন্ধীরা। অন্যদিকে নদীর পানি কমলেও সে পানি ঢুকে যাচ্ছে এইসব নিম্নাঞ্চলে। স্থানীয়রা বলছেন, চারদিকে পানিতে থইথই করছে। বাড়ি থেকে বের হওয়ার বেশিরভাগই রাস্তায় পানির নিচে। ঘরের চারদিকেই পানি সে পানি ঘরে ডুকলে দুর্ভোগে পড়তে হবে।
উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন,ইউনিয়নের অনেকগুলো গ্রামেই পানি ঠুকেছে ফলে বন্যার মতো পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। বাড়ি-ঘরের চারপাশেও পানি। যার কারণে মানুষ কিছুটা পানিবন্দি হয়ে পড়ছেন।
কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. সবুজ মিয়া জানান,গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। অনেকের ঘরেও পানি ডুকেছে। আমরা খোঁজ খবর রাখছি। তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান জানান,গতকাল পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন করেছি। আজ ২শত পারিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হবে। এছাড়াও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে,আমরা সর্বদা প্রস্তুত বন্যাপরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য।