নদীর এপার ভাঙ্গে ওপার গড়ে এইতো নদীর খেলা। এই ভাঙ্গা গড়ার খেলায় কত জনই হারিয়েছেন তার জন্ম ভিটা। কথায় আছে আগুনে পুড়ে গেলে ভিটে মাটি টিকে যায়। কিন্তু নদী ভাঙ্গলে কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।
এবারেও মেঘনা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের বড় কালীপুরা গ্রামে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে বড় কালীপুরা গ্রামে নদীতীরবর্তী ৭০টি পরিবার মেঘনা নদী ভাংঙ্গনের হুমকির মুখে আছে।
এলাকাবাসী ভাঙন রোধে দ্রুত স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন। বড় কালীপুরা গ্রামের বাসিন্দা মোজাফফর আলী জানান, মেঘনা নদীতে পানি বাড়ায় প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে অচিরেই বহু ঘরবাড়ি নদীতে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই কথা জানান ওই এলাকার আরও অনেকে। তাদের অনেকেরই আবাদি জমির উঠতি ফসলসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল নদীগর্ভে চলে গেছে। এখন ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হওয়ার আশংকায় দিন কাটছে তাদের।
গজারিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, গত বছর বিদায়ী গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী সরজমিন পরিদর্শন করেন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃ পক্ষকে নদী ভাংঙ্গন রোধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। তার পরে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ সরজমিন পরিদর্শন করেন। এরপরও কোনো পদক্ষেপ নেননি পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ইমামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুজ্জামান খাঁন জিতু জানান, অতি সত্তর ভাংগন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ভাংগন রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।