সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১৬ বছরের এক কিশোরীর বিয়ে বন্ধ করলেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আজাহার আলী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অর্ণা চক্রবর্তী। তবে অভিযানের খবর পেয়ে কনের বাড়ি থেকে বরপক্ষ পালিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত হন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। বুধবার (৫ জুলাই) মধ্যরাতে উপজেলার নলতা ইউনিয়নের কাশিবাটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত কনের পিতাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। বাল্যবিবাহের শিকার হতে যাওয়া ওই কিশোরীর বয়স ১৬ বছর। জানা যায়, বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার কাশিবাটি গ্রামের ১৬ বছরে কিশোরীর সাথে উপজেলার একই ইউনিয়নের পূর্ব নলতা গ্রামের জগদীশ চন্দ্রের ছেলে সন্দীপ সরকার(২০) এর বিয়ের আয়োজন করা হয়। বর কনের বাড়িতে হাজির হওয়ার সাথে সাথে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজহার আলীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যামাণ আদালত কনের বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওই বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন এবং বর ও কোন পক্ষকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং উপস্থিত সকলকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে অবহিত করেন। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আজহার আলী বলেন, আমরা বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে ওই কিশোরীর বিয়ে বন্ধ করেছি। কিশোরীর পিতাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই কিশোরী প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না এমন মুচলেকা দিয়েছেন কিশোরীর পিতা।