মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ভ্যানচালক হাসেমের স্ত্রী সুফিয়াকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে ওসমান ২০ হাজার টাকা দিয়ে দুই ব্যাক্তিকে ভাড়া করে হাসেমকে খুন করা হয়। হত্যাকাণ্ডের মূলরহস্য উন্মোচনসহ আরো দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রাতে উপজেলার দড়গ্রাম এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।শুক্রবার (৭ জুলাই) বেলা ১১ টার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ব্যাক্তিরা হলেন- মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার রুহুল্লী গ্রামের শহীদুল ইসলাম ও পূর্ব শিমুলিয়া গ্রামের মো. জসীম উদ্দিন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, হাসেমের স্ত্রী সুফিয়াকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে ওসমান হাসেমকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ওসমানের সাথে ভিকটিম হাসেমের স্ত্রী সুফিয়া আক্তারের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এজন্য ওসমান হাসেমকে হত্যার উদ্দেশ্যে শহীদুল ও জসীমকে ২০ হাজার দিয়ে ভাড়া করে। জুন মাসের ২৩ তারিখে রাত ১০ টার দিকে হাসেমকে তাস খেলার কথা বলে একটি তালাবদ্ধ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় ওসমান। পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী ওসমান, জসীম ও শহীদুল মিলে হাসেমের চোখ, হাত বেঁধে প্রথমে কিল-ঘুষি, লাঁথি ও পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ পাশ্ববর্তী পাটখেতে ফেলে রেখে যায়।
দড়গ্রাম ইউনিয়নের রুহুলী গ্রামের এ্যাংরাজ আলীর ছেলে ভ্যানচালক হাসেম আলী (৪৫) গত ২৩ জুন দুপুরের খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় আত্মীয়স্বজনরা রাতে খুঁজাখুজি করে। শনিবার ২৪ জুন সকালে স্থানীয় লোকজন ভ্যান চালক মো. হাসেমের মরহদেহটি কালামের পাটক্ষেতের আইলে দেখতে পায়। পরে তার স্বজনকে খবর দিলে পরিবারের লোকজন মরদেহটি শনাক্ত করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহটি শনিবার সকালে উদ্ধার করে।
সাটুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) ইমাম আল মেহেদী বলেন, ভ্যানচালক হাসেম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর আগে, ঘটনার সাথে জড়িত ওসমান ও জলিল নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল(বৃহস্পতিবার) ঘটনার সাথে জড়িত আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর জন্য তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।’