কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকায় দুপক্ষের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ২০টি প্রতিষ্ঠানসহ অন্তত ৫০টি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় উত্তরপাড়া আলিম সরকার বাড়ির বশির মিয়ার ছেলে রোজেন ও তার সহযোগীদের সঙ্গে দক্ষিণপাড়ার প্রান্ত নামের এক যুবকের লোকজেনর এ সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। প্রান্ত পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। এর আগে তিন মাস আগে মোটরসাইকেলের বিকট শব্দকে কেন্দ্র করে একই গ্রুপের যুবকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা প্রান্ত রিকশাযোগে আলিম সরকারের বাড়ির সামনে আসামাত্র কয়েকজন যুবকের সঙ্গে রিকশাচালকের বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় প্রান্ত প্রতিবাদ করতে গেলে তার সঙ্গে কথা-কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন তারা। একপর্যায়ে প্রান্তকে মারধর করা হয়। এ ঘটনার আধাঘণ্টা পর প্রান্তর পক্ষের লোকজনের সঙ্গে আলিম সরকার বাড়ির লোকজনের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় রাস্তার পাশে অন্তত ২০টি প্রতিষ্ঠানসহ ৫০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়। স্থানীয় দোকানদার আল-আমিন বলেন, আমি স্থানীয় বাসিন্দা হয়েও ভয় লাগে ব্যবসা করতে। দুদিন যেতে না যেতেই আমাদের দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।রাতে আমার দোকানের ফ্রিজসহ দোকান ভাঙচুর করেছে প্রান্ত বাহিনী। আমার সব মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। মোটরসাইকেল ব্যবসায়ী জামাল মিয়া বলেন, অন্তত ৫০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। এর আগেও ভাঙচুর করা হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ভৈরবে ব্যবসা করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আগ্রহ হারাবে। এ বিষয়ে আলিম সরকার বাড়ির রোজেন বলেন, রিকশাচালকের সঙ্গে কয়েকজনের ও প্রান্তর বাগবিতণ্ডা দেখে সেখানে যাই। পরে প্রান্ত আমাকে চড়থাপ্পড় দিলে স্থানীয়রা তার ওপর চড়াও হন। আমি পরিবারের কাছে বিচার দিতে বাড়িতে চলে আসি। হাসিবুল হাসান প্রান্ত বলেন, গত রমজানে আমার ছোট ভাইকে তারা মারধর করে। স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। কিন্তু তারা সেই সূত্র ধরেই আমার ওপর হামলা করেছে। আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, উভয়পক্ষ বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।