রাজশাহীতে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা সেন্টারে (আই-ভ্যাক সেন্টার) প্রবেশ করে ইনচার্জসহ অফিসের সদস্যদের হুমকি-ধামকি এবং ভিসা দেয়ার নাম করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নুরুন্নাহার খাতুন মিলি নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মহানগরীর বর্ণালীর মোড়ে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহার লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে। পরে শুক্রবার (৭ জুলাই) দুপুরে প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মিলিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত মিলি রাজশাহী নগরীর উপশহর নিউমার্কেট এলাকায় অবস্থিত রাফি টুরস এ্যন্ড ট্রাভেল্স-এর স্বত্বাধিকারী। আর তিনি বসবাস করেন রাজশাহী নগরীর উপশহর এলাকার ১ নম্বর সেক্টরের একটি ভাড়া বাড়িতে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃত মিলির বিরুদ্ধে ভিসা পাইয়ে দেয়ার নাম করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করাসহ ভারতীয় হাসপাতালেও সুচিকিৎসার নামে রোগীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু প্রতারণার শিকার ওইসব সেবাগ্রহীতা এর প্রতিবাদ করলে নারী দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়া হতো। আর এই ভয়ে কেউ কোন অভিযোগ করতে সাহস পেতো না।
এ ঘটনায় মামলার বাদী ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, কিছুদিন আগে রাজশাহী ভিসা সেন্টারে একজন আবেদনকারী তার পরিবারের মোট তিনটি ভিসার কাগজপত্র নিয়ে আসেন। আমরা তার আবেদনপত্র অনলাইনে যাচাই বাছাই করে দেখি তিনি আবেদনের নির্ধারিত ফি জমা না দিয়েই এসেছেন। তখন বিষয়টি অবগত করা হলে তিনি জানান, স্থানীয় একটি টুরস এ্যন্ড ট্যাভেলসের এক নারীর মাধ্যমে তিনি অনলাইনে ভিসার ফি পরিশোধ করেছেন। ভারতীয় তিনটি ভিসার জন্য নির্ধারিত ফি ২ হাজার ৫২০ টাকা। সেখানে ওই আবেদনকারীর কাছ থেকে নেয়া হয়েছে সাড়ে ৭ হাজার টাকা। অথচ ওই আবেদনকারীর কোন টাকাই পরিশোধ করা হয়নি। আবেদনকারী উল্টো আমাদেরকে সন্দেহ করেন। আমরা বুঝতে পারি আবেদনকারী প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরপর আমরা তাকে পুলিশে অভিযোগের পরামর্শ দেই। এ ঘটনার পর গত ৩ জুলাই সকাল পৌনে ১০টার দিকে আমাদের ভিসা সেন্টারে নুরুন্নাহার খাতুন মিলি এসে আমিসহ অফিসের সকল স্টাফকে হুমকি-ধামকি প্রদান করে। এমনকি আমাদের চাকরি থেকে বরখাস্তেরও ভয় দেখান। আমাদের ভিসা সেন্টারে এমন ঘটনা এটাই প্রথম দাবি করে বিপ্লব কুমার বলেন, এই ঘটনায় অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বোয়ালিয়া থানায় বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) একটি লিখিত অভিযোগ করি। এরপর থানা কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে সহযোগীতা করে ও অভিযুক্তকে নারীকে গ্রেপ্তার করে।