রায়গঞ্জে কাঁচা মরিচের দাম আবার বেড়ে গেছে। ৩ দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা। গত বুধবার উপজেলার বিভিন্ন বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২০০-২২০ টাকায়। দাম বাড়তে বাড়তে শনিবার তা ৪৮০ থেকে ৫২০ টাকায় ওঠে। ৩ দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ২৮০-৩০০ টাকা। শনিবার উপজেলার চান্দাইকোনা বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিনে গেলে, ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে আমদানির খবরে কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমে এসেছিল। ৮০০ টাকা কেজি থেকে দাম কমে ৩ দিন ধরে ২০০-২২০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছিল। শনিবার সকাল পর্যন্ত তা কেজিতে প্রায় ৩০০ টাকা বেড়ে গেল। কারণ হিসাবে তারা আমদানি কমের কথা বললেন। অপরদিকে বেটখৈর গ্রামের মরিচ চাষি আলামিন শেখ বলেন, লাগাতার বৃষ্টিতে মরিচ খেতে পানি জমে সমস্ত মরিচ গাছ মরে গেছে। তার ও পাশর্^বর্তী বেশ কয়েকজন মরিচ চাষির একই ধরণের ক্ষতি হয়েছে। একারণে বাজার মরিচ আমদানি কম বলে তিনি জানান। মরিচের দাম কমতে কমতে হঠাৎ করেই এমন দামের হেরফেরে ফের অস্বস্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা। ৩ দিনের ব্যবধানে কীভাবে মরিচের দাম এমন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়- তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ক্রেতারা। সিন্ডিকেট দাম বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন তারা। সিমলা গ্রাম থেকে চান্দাইকোনা বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা রবিউল করিম জানান, কাঁচা মরিচের দাম কমেছে শুনে তিনি কিনতে এসে দ্বিগুণ দাম দেখে শুকনা মরিচ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। চান্দাইকোনা কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুুস সামাদ ফকির জানান, পাল্লাপ্রতি (৫ কেজি) পাইকারিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২১০০ টাকায়। সে হিসেবে কেজি পড়ছে ৪০০ টাকার উপরে। এ ছাড়া গাড়ি ভাড়া ও কিছু খরচ মিলিয়ে খুচরা পর্যায়ে কেজিতে দাম ছাড়িয়ে যাচ্ছে ৫০০ টাকা। ভরা মৌসুমে ক্রেতাসহ প্রান্তিক চাষিরাও জীবনে এই প্রথম কাঁচা মরিচের দাম দেখে হতবাক হয়েছেন।