অভিমানে অবসর নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে এক দিন পরই বদল করলেন সেই সিদ্ধান্ত। ইমরান খানও ১৯৮৭ সালে অবসর নেওয়ার পর ফিরেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়া-উল-হকের অনুরোধে, জিতেছেন বিশ্বকাপও। অবসর ভেঙে ফেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে এই আয়োজন।
ইমরান খান : ১৯৮৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর বসেছিল ভারত ও পাকিস্তানে। বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন থাকলেও ব্যর্থ হয় তারকাখচিত স্বাগতিক পাকিস্তান। ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দেন পাকিস্তানি কিংবদন্তি ইমরান খান। কিন্তু তখনকার পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়া-উল-হক ইমরানকে অনুরোধ করেন মাঠে ফেরার।
অনুরোধটা ফেলতে পারেননি তিনি। অবসর ভেঙে ফিরে ১৯৮৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজে ২৩ উইকেট নেন ইমরান। এরপর বাজিমাত ১৯৯২ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। ইমরানের দৃঢ় নেতৃত্বে সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান।
একটা সময় গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা জাগা দলকে ‘আহত সিংহ’ বলে তাতিয়ে তোলেন ইমরান। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৪ আর ফাইনালে ইংল্যান্ডের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৭২ রানের ইনিংসটি খেলেন তিনিই।
জাভেদ মিয়াঁদাদ : পাকিস্তানের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটার জাভেদ মিয়াঁদাদ অবসর নিয়েছিলেন ১৯৯৪ সালে। ১৯৯৬ সালে নাটকীয়ভাবে তিনি ফিরে আসেন তখনকার পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর অনুরোধে। বিশ্বকাপে তিন ম্যাচে করেছিলেন কেবল ৫৪ রান।
ফেরার ১০ দিন পর তাই নিয়ে নেন চূড়ান্ত অবসর।
কার্ল হুপার : ১৯৯৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের তিন সপ্তাহ আগে অপ্রত্যাশিতভাবে অবসর নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক তারকা কার্ল হুপার। ২০০১ সালে ফিরে এসে ২০০৩ বিশ্বকাপে ক্যারিবীয়দের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পরও নির্বাচকরা আস্থা রেখেছিলেন হুপারের ওপর। তবে তিনি সরে দাঁড়ান তরুণদের জায়গা দিতে।
গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার : ২০০৪ সালে বর্ণবাদের শিকার হয়ে জিম্বাবুয়ের নেতৃত্ব হারিয়েছিলেন হিথ স্ট্রিক। এরই প্রতিবাদে অবসর নেন গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ারসহ ১৩ ক্রিকেটার। ছয় বছর পর ২০১০ সালে বিস্ময়করভাবেই ফেরেন ফ্লাওয়ার। তখনকার অধিনায়ক অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপে চাইছিলেন তাঁকে। কিন্তু সেরা ছন্দে না থাকায় বিশ্বকাপ খেলেননি আর।
কেভিন পিটারসেন : ইংলিশ সাবেক অধিনায়ক কেভিন পিটারসেন ২০১১ সালে অবসর নেন সাদা বলের ক্রিকেট থেকে। উদ্দেশ্য টেস্টে আরো ভালো করা। এই ঘোষণার কিছুদিন পরই তিন ফরম্যাটে ফিরে আসেন পিটারসেন।
বব সিম্পসন : ১৯৬৮ সালে অবসর নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা বব সিম্পসন। তত দিনে খেলেছিলেন ৫২ টেস্ট। ৯ বছর পর ১৯৭৭ সালে বিস্ময়করভাবেই জাতীয় দলে ফেরেন তিনি। অবসর ভেঙে ফেরা তারকাদের মধ্যে অগ্রণী ধরা হয় সিম্পসনকেই। ৪২ বছর বয়সে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে অধিনায়কও করা হয় সিম্পসনকে।