দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ৬ সদস্যের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল ঢাকায় পৌঁছেছেন।
আজ রোববার ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান চার সদস্য। এর আগে শনিবার পর্যবেক্ষক দলের বাকি দু’জন ঢাকায় পৌঁছান।
ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে কিছু নীতিমালা অনুসরণ করে। সাধারণত নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকলে তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে প্রতিনিধিদল পাঠায় না।
গত দুই নির্বাচনে কোন পর্যবেক্ষক পাঠায়নি ইইউ। এবারের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ইইউ এই অনুসন্ধানী মিশন পাঠাচ্ছে তারা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিদেশি বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) পশ্চিমা দেশগুলো সরব হয়ে উঠেছে। তারা চায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রকৃতপক্ষে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হোক। এজন্য একের পর এক প্রতিনিধিদল ও মিশন ঢাকা সফরে আসছে। পাশাপাশি ঢাকাস্থ বিদেশি মিশনগুলো তাদের দেশের নীতি-নির্দেশনা মেনে কাজ করছে। পশ্চিমা রাষ্ট্রদূতরা নিজেদের মধ্যে আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচন ইস্যুতে সংলাপ ও সমঝোতার ওপর জোর দিচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইইউ'র ৬ সদস্যের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দুই সপ্তাহের এই সফরে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ আছে কি না, তা যাচাই করবে। মিশনের সদস্যরা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর মধ্যে রয়েছে- নির্বাচন কমিশন, প্রধান রাজনৈতিক দল, নির্বাচন পর্যবেক্ষক, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধি। তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর মিশন ইইউর সদর দপ্তরে প্রতিবেদন ও সুপারিশ জমা দেবে।
ইইউ সদর দপ্তর এ বছর নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সম্ভাব্য তালিকায় বাংলাদেশকে রেখেছে। রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠায়নি যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনেও ইইউ ও ইউরোপীয় পার্লামেন্ট পর্যবেক্ষক পাঠায়নি।