ইউক্রেনের সাবেক পাঁচ কমান্ডারকে তুরস্ক থেকে দেশে নিয়ে এসেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সাবেক এ কমান্ডাররা ইউক্রেনের মারিউপোল সেনাশিবিরে (গ্যারিসন) কর্মরত ছিলেন। আত্মসমর্পণের পর বন্দি হিসেবে তাদের তুরস্কে পাঠানো হয়েছিল। তুরস্ক সফর শেষে শনিবার জেলেনস্কি সাবেক পাঁচ কমান্ডারকে নিয়ে দেশে ফেরেন। আগের দিন গত শুক্রবার ইস্তাম্বুলে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জেলেনস্কি। পরে তিনি বলেন, ‘আমরা তুরস্ক থেকে দেশে ফিরছি। আমাদের নায়কদের দেশে নিয়ে আসছি।’ গত বছর রাশিয়ার আক্রমণের সময় মারিউপোলের দক্ষিণ বন্দরের প্রতিরক্ষার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এ পাঁচ কমান্ডার। তারা আজভস্তাল ইস্পাত কারখানায় থেকে তিন মাসের তুমুল প্রতিরোধ লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এর জেরে তারা ইউক্রেনে বীর হিসেবে পরিচিত পান। অবরোধের সময় রাশিয়ান বাহিনী যখন শহরটিকে ধ্বংস করে দেয়, তখন মারিউপোলের ভিতরে হাজার হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়। একপর্যায়ে ইউক্রেনীয় প্রতিরোধ যোদ্ধারা মারিউপোলের আজভস্তাল ইস্পাত কারখানার নিচে টানেল ও বাংকারে আটকা পড়েন। শেষ পর্যন্ত গত বছরের মে মাসে তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় কিয়েভ। আঙ্কারার মধ্যস্থতায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে এখানকার কিছু বন্দিকে বিনিময় করে মস্কো। তবে চুক্তিতে শর্ত ছিল, যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনীয় এসব কমান্ডারকে তুরস্কেই থাকতে হবে। কিন্তু এখন তারা ছাড়া পেয়ে গেলেন। ইউক্রেনের সাবেক পাঁচ কমান্ডারকে দেশে ফিরিয়ে আনার ঘটনাটিকে কিয়েভের জন্য একটি বড় ধরনের প্রতীকী অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে। এদিকে, ইউক্রেনের সাবেক পাঁচ কমান্ডারের মুক্তির নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়া বলেছে, এ ঘটনা গত বছর হওয়া বন্দিবিনিময় চুক্তির লঙ্ঘন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন,বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় এসব ব্যক্তিকে তুরস্কে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আঙ্কারা। ইউক্রেনের সাবেক পাঁচ কমান্ডারকে মুক্তি দেয়ার বিষয়টি মস্কোকে জানানো হয়নি বলেও অভিযোগ করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার আরআইএ বার্তা সংস্থাকে পেসকভ বলেন, ইউক্রেনীয় সাবেক কমান্ডারদের ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে কেউ মস্কোকে অবহিত করেনি। চুক্তি অনুসারে, এসব কমান্ডারকে যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তুরস্কে থাকার কথা ছিল।