লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট টিএমএ মমিনকে প্রধান করে এক সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ।
তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিতে নিদের্শ দেয়াও হয়েছে। ওই তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ দিকে নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার হলেও এখনো একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
সোমবার (১০ জুলাই) দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার সকালে উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের ধুবনী গ্রামের তিস্তা নদীতে এ নৌকাডুবির ঘটনাটি ঘটে।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- শফিকুল ইসলাম (৫০) ও ফজলুর রহমান (৫৫)। নিখোঁজ ব্যাক্তি হলেন, আহেদুল ইসলাম (৪০)। তারা তিনজনই দিনমজুর।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ঘাট ইজারাদারের অবহেলা, ডিঙ্গি নৌকা, অতিরিক্ত যাত্রী ও শিশু মাঝি নৌকাডুবির মূল কারণ। তারা এ ঘটনায় ইজারাদার ও মাঝিকে গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এ সময় তদন্ত করে ইজারাদারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তারা।
সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দুলু জানান, রোববার সকালে ১৮ থেকে ২০ জন শ্রমিক একটি ডিঙি নৌকায় কাজের উদ্দেশ্যে তিস্তা নদী পার হওয়ার চেষ্টা করে। পরে মাঝ নদীতে প্রবল স্রােতে নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় অনেকেই সাতরিয়ে পাড়ে উঠলেও তিনজন ডুবে যায়।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা ফায়ার স্টেশন অফিসার মনির হোসেন বলেন, দুইজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। ডুবুরি দল বাকি এক জনকে উদ্ধারের চেষ্টা এখনো চালিয়ে যাচ্ছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, এ ঘটনায় ঘাট ইজারাদারের কোনো অবহেলা আছে কি না তা তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।