রংপুরের পীরগঞ্জে বালুয়া হাটে ইজারা নিয়ে সাপ্তাহিক হাটের দিন ছাড়াও প্রতিদিন ইজারা আদায় করছেন সংশ্লিষ্ট ইজারাদার। স্থানীয় প্রশাসন এসব অবগত হবার পরেও ওই ইজারাদারের বিরুদ্ধে কোন আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। যে কারণে দিনের পর দিন ইজারাদেরর দৌরাত্ন বেড়েই চলেছে। প্রতি সপ্তাহে বুধবার ও রোববার বালুয়া হাট বসে। হাট ইজারার দরপত্র আহ্বান করা হলে দরপত্র ক্রয় পুর্বক কয়েকজন সিন্ডিকেট করে গত বছরের ইজারাকৃত দর ৭০ লাখ টাকার স্থলে ৩০ লাখ টাকা কম দরে মাত্র ৪০ লাখ টাকা দরে দরপত্র ফেলেন। সিন্ডিকেটের সাথে বিশেষ সমঝোতায় দরপত্র আহ্বানকারী কর্তৃপক্ষ তাদের দাখিলকৃত দরেই দরপত্র গ্রহন করেন। এতে সরকারের ৩০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় কম হয়। একটি সুত্র দাবি করেছে,দরপত্র সিন্ডিকেট এর এই প্রক্রীয়ায় বেশ কয়েক লাখ টাকা ভাগাভাগিও হয়। মোস্তফা নামের এক ব্যক্তির নামে হাটের ইজারা দেয়া হলে ওই ইজারাদার সাপ্তাহিক হাটের দিন বুধবার ও রোববার ক্রেতা বিকোতাদের কাছে এবং হাটের দিন ছাড়া অন্যান্য দিনে শুধুমাত্র ক্রেতাদের কাছে বলপুর্বক ইজারা আদায় করছেন। উল্লেখ্য যে,বালুয়া হটে এই এলাকার বিখ্যাত কাঁচা মরিচের আড়ত রয়েছে। প্রতিদিন এখানে শতশত মন কাঁচা মরিচ আমদানি ও বেচা কেনা হয়। রীতিমতো ট্রাকযোগে তা দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যায়। বালুয়া হাটে অর্ধ শতাধিক কাঁচা মরিচের আড়তে ক্রয়কৃত কাচামরিচ ক্রেতা মহাজনদের কাছে প্রতি ৬০ কেজির ১ বস্তা কাঁচা মরিচের জন্য বাধ্যতামুলক ৫০ টাকা হারে ইজারা আদায় করা হয়। এভাবে কাঁচা মরিচের মৌসুমে বালুয়া হাটে প্রতিদিন অর্ধলক্ষ টাকারও বেশি ইজারা আদায় হয় বলে একাধিক নির্ভরযোগ্য সুত্র দাবি করেছে। এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে ইজারাদায় মোস্তফা জানান,অনেক টাকা দিয়ে হাট নেয়া হয়েছে,এত টাকা উঠবে কি করে ? প্রতিদিন ইজারা আদায়ের কোন নিয়ম না থাকলেও দিনের পর দিন এ অনিয়ম চললেও স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে বরাবর রহস্যজনক নীরবতা পালন করছেন। এ ব্যাপারে জানার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হাসান কে ফোন দেয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।