পটুয়াখালীতে সমুদ্রে ৬৫ দিন মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞার কারণে সাগর ও নদীতে মাছের উৎপাদন বেড়েছে। এবছর জেলায় ৭২ হাজার ৫২৬ মেট্রিক টন ইলিশ ও সামুদ্রিক মাছ আহৃত হয়েছে।
সোমবার বিকালে পটুয়াখালীর কলাপাড়া প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার তৌহিদুর রহমান মিলনায়তনে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসনের কর্মকা- নিয়ে পটুয়াখালী মৎস্য বিভাগের মতবিনিময় সভায় পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হোসেন এ কথা বলেন।
তিঁনি বলেন, ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন গত ৫০ দিনে মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসনের ৪৫ টি অভিযানে প্রায় অর্ধশত ট্রলার সহ দেড় শতাধিক জেলেকে আটক করা হয়। মামলা দেয়া হয়েছে দুটি। ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করা হয়েছে সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে পালনে কোষ্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও পুলিশ কঠোর অবস্থা গ্রহণ করায় গতবছরের চেয়ে এ বছর মাছের আহরণ ও উৎপাদন বেড়েছে। এ অর্থ বছরে জুন পর্যন্ত পটুয়াখালীতে ৭২ হাজার ৫২৬ মেট্রিক টন ইলিশ সহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ আহৃত হয়েছে। গত বছর আহরণ করা হয়েছিল ৬৯ হাজার ৩৫৫ মেট্রিক টন।
আগামী ২৩ জুলাই সমুদ্রের ৬৫ দিন মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা শেষ হলে প্রচুর মাছ ধরা পরবে বলে জানালেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।
মতবিনিময় সভায় নিজামপুর কোষ্ট গার্ড, কুয়াকাটা ও পায়রা বন্দর নৌ পুলিশ ও মহিপুর থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।