চরম স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা জেনেও দেশের একমাত্র অল্প মজুরির পেশায় কাজ করছেন নারী-পুরুষ ও শিশুরা। ন্যায্য মজুরি বঞ্চিত নগরীর নারী ও পুরুষ বিড়ি শ্রমিকদের দীর্ঘদিন থেকেই চলছে চরম দুর্দিন। বিড়ির দাম বাড়লেও মহাজন বাড়াতে চায় না শ্রমিকদের মজুরি। দেশের কোনো পেশাতেই এত অল্প মজুরি প্রাপ্তির নজির নেই।
বিড়ি শ্রমিকরা জানিয়েছেন, তারা এ কাজটি মজুরির জন্য করেন। তবে এ কাজে রয়েছে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকি। বিভিন্ন সময় তাদের অসুস্থতায় ভুগতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে শিশু বিড়ি শ্রমিকরা কাজ করে বেশি কিন্তু মজুরি পায় কম। দীর্ঘদিন থেকে বিড়ি বেঁধেই সংসার চালাচ্ছেন বরিশাল কারিকর বিড়ি ফ্যাক্টরীর শ্রমিকরা। সংসার চালাতে পুরুষ সদস্যদের পাশাপাশি বিড়ি বাঁধার কাজ করছেন নারী ও পরিবারের শিশুরা। দীর্ঘদিন থেকে বিড়ি বাঁধাই মূল রোজগার হয়ে দাঁড়িয়েছে নগরীর বিভিন্ন এলাকার প্রায় চার শতাধিক নারীদের। এ ফাক্টরীতে কাজ করে নিজেদের পড়াশুনার খরচ জোগার করছেন নিন্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী।
বিড়ি শ্রমিকরা জানিয়েছেন, সপ্তাহে মাত্র তিনদিন কারখানা খোলা। তাই ওই তিনদিন পরিবারের সবাই এখানে কাজে আসেন। তিনদিনের আয় দিয়েই সপ্তাহের বাকি দিনগুলো চলতে হয় বিড়ি শ্রমিকদের। এক হাজার বিড়ি বানালে ১৫ টাকা করে দেওয়া হয় শ্রমিকদের। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০ হাজার বিড়ি বানিয়ে একেকজন শ্রমিকের আয় করছেন ১৫০ টাকা। যা বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারের সাথে কোন দিক থেকেই সামঞ্জস্য নয়। তারপরেও পেটের দায়ে দেশের সবচেয়ে অল্প মজুরি প্রাপ্তির বিড়ি শ্রমিকদের এ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে হচ্ছে।