আব্দুল আজিজ মৃধা (৭০) অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। দীর্ঘদিন রোগ ভেগের পর মঙ্গলবার (১১জুলাই) রায়েন্দা বাজারস্ত নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তানরা পরদিন বুধবার সকাল ১০টায় রায়েন্দা কেন্দ্রিয় বড় মসজিদের ঈদগাহ মাঠে জানাজার নামাজের জন্য মাইকিং করেন। উপজেলার মালিয়া আল ফালাহ মাদ্রাসার কবরস্থানে দাফনের জন্য কবর খোড়া হয়। কিন্তু সকাল সাড়ে ৯টায় লাশ নিয়ে জানাজাস্থলে আসলে পাওনাদাররা চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। একপর্যায়ে লাশ ফেলে পালিয়ে যায় তার সন্তান ও স্বজনরা। এরপর ৫ ঘন্টা বেওয়ারিশ অবস্থায় তার লাশ পড়ে থাকে মসজিদের অজুখানার পাশে। উৎসুক জনতা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানায়। পরে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুপুর আড়াইটার সময় জানাজা পড়িয়ে পরিবারের লোকদের এনে লাশ তুলে দেওয়া হয় তাদের হাতে।
শরণখোলা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজ জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল আজিজ মৃধা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে মৃত্যু বরন করেন। বুধবার তার জানাজার খবর পেয়েই পাওয়ানদাররা এসে ভিড় করে। এ সময় তার স্ত্রী ছেলে-মেয়েরা একর্পায়ে পালিয়ে যায়।
ভাইস চেয়ারম্যান মো. হাসানুজ্জামান পারভেজ আরো জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিদের্শনা অনুযায়ী পরিবারের লোক ও পাওয়ানাদাদের সঙ্গে আলোচনা করে লাশের জানাজা শেষে আজিজ মাষ্টারের প্রথম সংসারের বড় ছেলে মতিয়ার রহমানের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রী-সন্তানদের কাছ থেকে আত্মসাতকৃত সম্পত্তি ও অর্থ উদ্ধার করে ঋণ পরিশোধ করা হবে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে বিষয়টি সমাধান করে লাশের জানাজা ও দাফনের জন্য বলা হয়। পাওনাদাররা যাতে তাদের টাকা পেতে পারেন সেব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।