জ্ঞান-বিজ্ঞানে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পর দেশে বিজ্ঞানচর্চা অনেক প্রসারিত হয়েছে। সরকারি বেসরকারি সব মিলিয়ে বাংলাদেশে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দেড়শ ছাড়িয়ে গেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিজ্ঞানের নানা বিষয়ে অসংখ্য শিক্ষার্থী এখন পড়াশোনা করছে। অনেক কলেজে বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে থিসিস করানো হচ্ছে। দেশ কিংবা বিদেশ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে বহু শিক্ষক এখন কলেজে শিক্ষকতা করছেন। তাদের অনেকে গবেষণায়ও জড়িতও আছেন। আমাদের দেশের তরুণদের এ মেধাবীকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষও একদিন চাঁদে যাবে, প্লেন বানাবে। এজন্য বিজ্ঞান ও গবেষণার প্রতি সরকার জোর দিয়েছে।
বাংলাদেশে একদকশ আগেও বিজ্ঞানের প্রতি ছাত্ররা তেমন আগ্রহী ছিল না। এবং গবেষণার জন্য তখন কোনো বরাদ্দ ছিল না। ফলে আর্থিক সঙ্গতি না থাকা সত্ত্বেও তখন আমাদের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন গবেষণার জন্য। প্রথমে কৃষিতে গবেষণায় গুরুত্ব দেন ও পরবর্তী সময়ে প্রজন্মকে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তুলতে অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। আমরা এরি মধ্যে তার ফলাফল দেখতেও পেয়েছি। গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশের সবক্ষেত্রে পরিবর্তন হয়েছে এবং দেশ সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই প্রত্যেক বিদ্যালয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকা দ্বারা বিজ্ঞানকে আনন্দের সঙ্গে শেখার ব্যবস্থা করতে হবে। তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক বিজ্ঞানে উন্নতির সঙ্গে গবেষণার পরিসর বাড়াতে হবে। আশা রাখা যায়, আমাদের সন্তানরাও সঠিক দিকনির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে সমৃদ্ধ দেশ গড়ার পাশাপাশি বিশ্ব অঙ্গনে দেশের পতাকা সমুন্নত রাখতে সক্ষম হবে। কারণ আমাদের কৃষিও জীববিজ্ঞানের অন্যতম অংশ। জীববিজ্ঞানের বিশাল একটি পরিমণ্ডল ঘিরে আবর্তিত। আমরা শুধু বিজ্ঞানের তত্ত্ব কথা পড়তে চাই না। বিজ্ঞানে আরও গবেষণা বাড়াতে হবে। আমাদের প্রত্যেক স্কুলে প্র্যাকটিক্যাল ল্যাব তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশে বিজ্ঞানচর্চা এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে এ ধরনের সমিতি বা সংস্থাগুলোর অবদান অনস্বীকার্য। আমরা উন্নত দেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের বাংলাদেশ নির্মাণ করবে। তাই আমরা বিজ্ঞানমনস্ক একটি জাঁতি গঠন করতে চাই। এছাড়াও বিজ্ঞানের সব শাখা উজ্জীবিত হোক এবং বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হোক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।