সুন্নাতেখাতনা করাতে গিয়ে চিকিৎসকের অবহেলায় দায়সারা অস্ত্রপাচারে অসহ্য যন্ত্রনার শিকার হয়েছে এক শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে নগরীর কালিবাড়ী রোডের বরিশাল মেট্রোপলিটন হাসপাতালে।
ঘটনার শিকার নগরী বাসিন্দা পাঁচ বছরের শিশু ওমরআব্দুল্লাহর বাবা শাহীন হাসান বৃহস্পতিবার সকালে অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলের সুন্নাতেখাতনার জন্য বরিশাল মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে অস্ত্রপাচারের স্থান অবশ করতে ইনজেকশন পুশ করার আধাঘন্টা পর অস্ত্রপাচার কক্ষে আসেন চিকিৎসক মুন্সী মুবিনুল ইসলাম। তিনি কোন কিছু না জেনেই অস্ত্রপাচার করা শুরু করেন। কিন্তু অবশ থাকার সময় পার হওয়ার কারণে অস্ত্রপাচারের সময় অসহ্য যন্ত্রনায় চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে শিশু ওমর। বিষয়টি আমলে না নিয়ে ওই চিকিৎসক দায়সারাভাবে অস্ত্রপাচারের স্থান সেলাই দিয়ে পাঠিয়ে দেয়। পরে শিশু ওমরকে বাসায় নেয়ার পর দেখা যায় সুন্নাতেখাতনার স্থানে ঠিকমতো সেলাই দেয়া হয়নি। শাহীন হাসান আরও বলেন, পরবর্তীতে শিশু ওমরকে হাসপাতালে এনে বিষয়টি ওই চিকিৎসককে জানানোর পর আবারো শিশু ওমরকে অজ্ঞান করে অস্ত্রপাচারের স্থানে দ্বিতীয়বারের মতো সেলাই দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে গাইনী বিষয়ের চিকিৎসক মুন্সী মুবিনুল ইসলাম বলেন, ডায়াথার্মি দিয়ে রক্তক্ষরন বন্ধ করা হয়। কিন্তু প্রথমবার শিশুটি ভয় পাওয়ায় তা দেয়া যায়নি। পরে আনার পর অজ্ঞান করে তা দেওয়া হয়ছে। হাসপাতালের পরিচালক মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শিশুটি ব্যাথার চেয়ে আতঙ্কিত হয়েছে বেশি। যে কারণে একটু চিৎকার করেছে। পরে তাকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।