হাসপাতালের ফটক আটকিয়ে এক আয়া তার ছেলেসহ বহিরাগত লোকজনকে এনে রোগী ও তার ছেলে-মেয়েকে মারধর করে আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দিবাগত রাতে জেলার গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে।
হামলার শিকার উপজেলার কসবা গ্রামের মৃত জুয়েল খানের স্ত্রী শিমুল বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত দুইদিন পূর্বে শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু হাসপাতালে কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে অন্যত্র চিকিৎসার জন্য বুধবার রাতে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় নার্সদের রুমে ছাড়পত্র নিতে যান। এ সময় ছাড়পত্র দিতে অনিহা করায় নার্সদের রুমে থাকা আয়ার সাথে তার (শিমুল) সামান্য বাগ্বিতন্ডা হয়। এ ঘটনার জেরধরে ওই আয়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বহিরাগত লোকজন এনে হাসপাতালের ফটক আটকিয়ে হামলা চালায়।
বিধবা শিমুল বেগম আরও বলেন, হামলার সময় আমাকে রক্ষার করতে আমার ছেলে ও মেয়ে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করে আহত করা হয়েছে। একপর্যায়ে হাসপাতালের মধ্যে আমাদের জিম্মি করে চিকিৎসার জন্য ব্যাগে রাখা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।
অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, নার্সদের সামনে বসে জোরপূর্বক ওই আয়া আমার হাতের ক্যানোলা খুলে ফেলে। এমনকি হাসপাতালের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটলেও কোন ডাক্তার বা নার্সরা আমাদের রক্ষায় এগিয়ে আসেননি। শিমুল বেগম বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত আয়াকে প্রথমে চিনতে না পারলেও পরবর্তীতে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি ওই আয়ার নাম নিসপুন নাহার। সে গৌরনদী পৌর এলাকার গেরাকুল গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ইলেকট্রিশিয়ান আলাউদ্দিন বেপারীর স্ত্রী। আর হামলাকারীরা হলেন ওই আয়ার ছেলে ও তার সহযোগিরা।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত আয়া নিসপুন নাহারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিফ না করায় কোন বক্তব্য নেয়া যায়নি। এমনকি ঘটনার পর থেকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মনিরুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি খুদে বার্তা পাঠিয়েও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।