দিঘলিয়া উপজেলার ৬ ইউনিয়নে অতি দরিদ্র কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় কর্মরত শ্রমিকদের কর্মসূচির পাওনা টাকা তাদের মোবাইল নগদ একাউন্টে গত ২৫ জুন টাকা ঢোকে। শ্রমিকদের পাওনার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা তাদের মোবাইলে ঢুকে। শ্রমিকদের পাওনা ৭২০০/৮২০০ টাকার স্থলে নগদ একাউন্টস এর মাধ্যমে তাদের একাউন্টে ঢুকেছে কারো ৭২ হাজার আবার কারো ৮২ হাজার টাকা। ঈদণ্ডউল-আজহার দুই দিন আগে এত টাকা। আগে পিছে না ভেবে সে টাকা খরচ করে বিপাকে পড়েছে শ্রমিকেরা। সে টাকা তাদের জন্য হয়ে পড়েছে মাছের কাঁটার মত। সরকারিভাবে রীতিমত মহড়া শুরু হয়েছে টাকা রিটার্ণ করার। আর এজন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নগুলোর চেয়ারম্যান-মেম্বর ও উপজেলা প্রশাসন।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, উপজেলার প্রায় ৬ শত শ্রমিকের সিংহভাগ তাদের মোবাইলে ঢুকা টাকা তুলে খরচ করে ফেলেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের পাওনার অতিরিক্ত টাকা ইউনিয়নের মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের মধ্যে ফেরৎ দেওয়ার। ভুলক্রমে আসা সরকারি এ অতিরিক্ত টাকা রিটার্ণ করতে যারা ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে স্রফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সূত্র থেকে জানা গেছে, দিঘলিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের শ্রমিকদের অনুকূলে প্রায় পৌণে দুই কোটি টাকা অতিরিক্ত ঢুকেছে। যে টাকার তালিকা প্রতিটা ইউনিয়নে চেয়ারম্যানদের নিকট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এ টাকা মোবাইলে ঢোকার সাথে সাথে কেউ কেউ স্বজনদের মোবাইলে স্থানান্তরিত করে ফেলে টাকা হ্যাকের অভিযোগ এনে দিঘলিয়া থানায় জিডিও করেছে বলে জানা গেছে। কেউ কেউ জানিয়েছে তাদের আংশিক টাকা মোবাইলে জব্দ করে রাখা হয়েছিল যে টাকা পরবর্তীতে মোবাইলে দেখা যাচ্ছে না।
অপর এক সূত্র বলছে বৃহস্পতিবারের মধ্যে শ্রমিকদের অতিরিক্ত টাকার সিংহভাগ সরকারি খাতে রিফান্ড হয়ে যাবে। সব মিলে এ টাকা সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতোমধ্যে এ টাকা হয়ে পড়েছে নয় ছয়। তারপর স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত টাকা সরকারি খাতে রিফান্ডের চাপ। টাকা রিফান্ডে ব্যর্থ শ্রমিকদের সামনে রয়েছে আরো বড় ধরণের আইনি চাপ।
জানা গেছে খুলনা ও বরিশাল বিভাগসহ সারা দেশের ১০ টি উপজেলায় এরূপ অতিরিক্ত টাকা মোবাইল একাউন্টে ঢুকেছে। যা নিয়ে গরীব শ্রমিকেরা রয়েছে বিপাকে। স্থানীয় প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সসদস্যরা রয়েছে নানা আলোচনা সমালোচনার মধ্যমণি।