রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের বদনাপাড়া নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত করনের পর ৬ মাস অতিবাহিত হলেও এখনও কোন প্রকার শিক্ষার্থী নেই। সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকেই ওই বিদ্যালয়টির নিয়মিত ক্লাস হয় না। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীও আসতে দেখা যায় না। শুধুমাত্র কাগজে-কলমে প্রতিবছর বহিরাগত শিক্ষার্থী দ্বারা পরীক্ষায় অংশ নেয়া হচ্ছে। যাতে করে বিদ্যালয়ের অস্তিত্ব ঠিক থাকে। ওই এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ব্যক্তি জানান, দীর্ঘদিন থেকে যে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী উপস্থিতি দেখা যায়না এবং লেখাপড়ার কোন সুযোগই নেই। সেই বিদ্যালয়টি আবার এমপিও কিভাবে ? সরজমিনে গিয়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শিক্ষক-কর্মচারী ৯ জন উপস্থিত পাওয়া গেলেও কোন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল না। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী শূন্য ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন বহুদিন যাবৎ নন-এমপিও ছিল এবং গ্রামের বিদ্যালয়তো তাই শিক্ষার্থী উপস্থিতি নেই।সম্প্রতি বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নাম ও মোবাইল নম্বর চাইলে তিনি বলেন আমি নামও জানিনা আমার কাছে ওনার মোবাইল নম্বরও নেই। তদানিন্তন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মমিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেছিলেন,এমপিওভুক্ত হওয়ার বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। তবে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরে অবশ্য তিনি প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে মোটা অংকের বিনিময়ে রাতারাতি গোপনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের নাম সম্বলিত যাবতীয় কাগজপত্র মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়েছেন বলে একটি সুত্র দাবি করেছে। বর্তমান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন বলেন-এ ধরনরে অভিযোগ থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এলাকাবাসী এ ব্যাপারে সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।