বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামাত চেয়েছিল বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত করতে। তাদের লজ্জা হয় না, এদেশের জনগণের সম্পদ জনগণকে জিজ্ঞেস না করে এরশাদ সাহেব এক টাকার বিনিময়ে খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টে ৬৩ বিঘা জমি দিয়েছিলেন, গুলশানে দিয়ে দিলেন একটি অট্টালিকা। তারা বাংলাদেশকে লুট করে নিজেদের আখের গুছিয়েছেন। শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর বিশেষ বর্ধিত সভায় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য আনিসুল হক এসব কথা বলেছেন।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে বিএনপি, জামাত যেটা খুব ভাল পারে সেটা হচ্ছে ষড়যন্ত্র। তারা কিন্তু ষড়যন্ত্র করছে। যদি শেখ হাসিনা না থাকে, আমরা না থাকি, আপনাদের বলতে পারি আওয়ামী লীগের তৃণমূলও রক্ষা পাবে না। সেই জন্য আপনাদের বলছি ঐক্যবদ্ধ থাকুন। আমরা সবাই এক পরিবারের সদস্য। আমাদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি থাকতে পারে। কিন্তু কেউ আমরা এই পরিবারের বাইরে নই। তাদের ষড়যন্ত্রের কথা মনে রেখে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী হতে হবে। আমি আশা করি আপনারা তা করবেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, পাকিস্তানও কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারে নাই। বঙ্গবন্ধুকে কিছু ষড়যন্ত্রকারী, কিছু বেঈমান, কিছু কুলাঙ্গার, কিছু নাফরমান হত্যা করেছে। জাতির পিতাকে হত্যা করার পর আপনাদের মত আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কারণে আওয়ামী লীগ টিকে গেছে। আপনাদের শক্তির কারনেই আপনাদের নেতৃত্ব দিতেই কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সার্বভৌমত্ব দেশ এখানে বাইরের কোন শক্তিশালী দেশ চাপ দিয়ে আমাদেরকে দিয়ে কোন কিছু করাতে পারবে না। বাংলাদেশ এখন জিয়াউর রহমান, এরশাদ আর খালেদা জিয়ার দেশ নাই। বাংলাদেশ এখন নিজের পায়ে দাড়ানো ক্ষমতা রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল আমাদের সাথে দেখা করে বলেছে তারা নির্বাচন সুষ্ঠ, অবাধ ও নিরপেক্ষ দেখতে চায়। নির্বাচনে যাতে কোন সহিংসতা না হয় সেটাই তারা দেখতে চায়। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য।
বিশেষ বর্ধিতসভায় গোপীনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদির ভূইয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও গোপীনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান ভুইয়ার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল কাওসার ভূইয়া, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. আজহারুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এম.এ আজিজ প্রমুখ।