শুক্রবার সকালে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স মিল জবর দখলে নেয়ার প্রচেষ্টা পুলিশ ভেস্তে দিয়েছে।
কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট বাজারে মালিকের বিরুদ্ধে ভাড়াটিয়ার দোকান ভাংচুর, লুটপাট ও দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তাক্ত সহিংসতার ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন ওই বাজারের ব্যবসায়ীরা। বিষয়টি নিয়ে স মিল মালিক আদালতে ১৪৪ ধারা চেয়ে মামলা করেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত যশোরে গত ২৩/০৬/২৩ তারিখ ১৪৪/১৪৫ ধারায় মোকদ্দমা করেন যার নবর ৭৬৯/২৩। সহকারী পুলিশ সুপার মনিরামপুর কেশবপুর থানাকে গত ৫/০৭/২৩ তারিখ ১৮৯ নম্বর পত্রাদেশ দেন। এখবর জানতে পেরে আসামিরা লুঠপাট ও দখলে নামে। কেশবপুর থানা পুলিশ শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে উভয় পক্ষকে নোটিশ দেয়।
জানা গেছে, উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের মৃত ছাদের আলী সরদারের ছেলে আবদুস সালাম সরদার ৮৪ নং বসুন্তিয়া মৌজার আর এস ৩৪৫ দাগের সাড়ে ৭ শতক জমি মালিক মিজানুর রহমানের নিকট থেকে গত ৪ জুন হতে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য চুক্তিপত্রের মাধ্যমে ভাড়া নিয়ে সমিলের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে বৃহস্পতিবার সকালে মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে তার ভাই আমিনুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমানসহ একটি রাজনৈতিক দলের যুব সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীদের ভাড়া করে এনে সন্ত্রাসী স্টাইলে আবদুল সালাম সরদারের সমিলের ঘর ভাংচুর লুটপাট ও দখলের চেষ্টা করে। দখলকারীরা সমিলের মালামাল ভাংচুর, নৌকা তৈরির সেড, কাঠের গোডাউন ভাংচুর করে এবং ক্যাশ ঘরের তালা ভেঙ্গে ২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা লুটপাটসহ ৯ লক্ষধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে।
ভাড়াটিয়া আবদুস সালাম বলেন, মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি রাজনৈতিক দলের যুব সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীদের ভাড়া করে এনে আমার মিল ভাংচুর ও লুটপাট এবং দখলের চেষ্টা করা হয়েছে। এতে নগত ২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা সহ ৯ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে জমির মালিক মিজানুর রহমান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী রেহেনা পারভীন ওই জমি আবদুস সালামকে ৫ বছরের জন্য লিজ দিয়েছিলাম।
মঙ্গলকোট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান বলেন, ওই জমি ইউনিয়ন পরিষদে সালিশের মাধ্যমে চেয়ারম্যান ও উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে অব্দুস সালামকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত লিজ দেয়া হয়েছিল। শুক্রবার মিজানুর রহমানের লোকজন বালু ও ইট ফেলতে আসলে ৯৯৯ এ কল দিয়ে ও কেশবপুর থানা পুলিশকে জানালে তারা পিছু হটে যায়।