হবিগঞ্জের মাধবপুর বেজুড়া গ্রামে গাইডওয়াল নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুপক্ষে বিরোধ থানায় বসে মিমাংসাকালে দুপক্ষের সংর্ঘষে ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় ১৪ কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের শুক্রবার রাতেই আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হল উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের বেজুড়া গ্রামের আবদুল হাই’র ছেলে মোঃ হেলাল মিয়া (৩০) মৃত মোক্তার হোসেনের ছেলে মোঃ দুলাল মিয়া (৫০) কলমদর মিয়ার ছেলে মোঃ মমরাজ মিয়া (৪০) আসদ আলীর ছেলে মোঃ জাবেদ মিয়া (২৭) মৃত আলফু মিয়ার ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৫৭) মোঃ হারুন মিয়ার ছেলে লোকমান মিয়া (৩৫) জজ মিয়ার ছেলে মোঃ মিজান মিয়া (২৭) মৃত ইমাম হোসেনের ছেলে শাহ আলম (৪৬) মৃত সামির হোসেনের ছেলে মোঃ কামাল মিয়া (৩০) মৃত ইমাম হোসেনের ছেলে মোঃ হুমায়ুন কবির (৪৫) মৃত শহীদ আলীর ছেলে আবদুল হাই ওরুপে লাল খাঁ (৬০) ও হাজী আদিল হোসেনের ছেলে হৃদয় মিয়া (২৭)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়-মাধবপুর উপজেলা পরিষদ থেকে জগদীশপুর ইউনিয়নের মধ্য বেজুড়া গ্রামের সাবেক মেম্বার রইছ আলীসহ যৌথ মালিকানাধীন একটি পুকুরের পানি শুকিয়ে সরকারী প্রায় ৪ লক্ষ অর্থায়নে গাইড ওয়াল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু ওই গ্রামের লাল খা মিয়ার ছেলেরা এতে বাধা দেয়। একপর্যায়ে লাল মিয়ার পক্ষ থেকে ৯৯৯ ফোন করা হয়। মাধবপুর থানা থেকে পুলিশ গিয়ে অভিযোগ শোনে।
অভিযোগটি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারসহ উভয় পক্ষের লোকজনকে শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকালে থানার হলরুমে এক শালিস ডাকা হয়। বৈঠকে ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদ খাঁন ও মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। শালিসের একপর্যায়ে ওয়ার্ড মেম্বার আরজু মিয়া (৫৫) ও মৃত আলফু মিয়ার ছেলে সিরাজ (৪০) এর মাঝে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এ সময় থানা হলরুমের ভেতরে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে জগদীশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার বেনু মিয়া ও ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার মর্তুজ আলী, বেজুড়া গ্রামের গেদু মিয়া, কামাল মিয়া, লোকমান মিয়া, ইন্সপেক্টর তদন্ত আতিকুর রহমান, এস আই মানিক কুমার সাহা, এস আই শুভ দে, এস.আই সাইদুল ইসলাম, পুলিশ সদস্য আশরাফুল ইসলাম, আবদুল জলিল ও আহসান আলী, সাংবাদিক এরশাদ আলীসহ কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়েছে। আহতদের মাধবপুর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। থানার অফিসার ইনর্চাজ মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক জানান, ৯৯৯’র কলের মাধ্যমে বিরোধের প্রকৃত বিষয়টি শোনার জন্য থানায় ডাকা হয়েছিল। উভয় পক্ষের লোকেরা থানা থেকে বের হওয়ার পথে মারামারিতে লিপ্ত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ সদস্যরা আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে ৫৪জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২৫জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৪ জন দাঙ্গাবাজকে গ্রেপ্তার করে কোডে প্রেরন করা হয়েছে।