দীর্ঘমেয়াদী জলাবদ্ধতা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সাতক্ষীরা অঞ্চল অতি ঝুঁকিপূর্ণ। জলাবদ্ধতা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, লবণাক্ততা প্রভৃতি সমস্যার কারণে এ অঞ্চল ক্রমশঃ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে এবং বাস্তুভিটা ত্যাগ করে স্থানান্তÍরিত হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাঁচ্ছে। এমন পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে স্মারকলিপি দিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা 'উত্তরণ' ও পানি কমিটি। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ওই স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, আইপিসিসি রিপোর্ট অনুযায়ী বৈশ্বিক উষ্ণতায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাতে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পৃথিবীর পাঁচটি দ্বীপ রাষ্ট্র, যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বঙ্গোপসাগরের উপকূলে বাংলাদেশের অবস্থান। উপকূলের পূর্ব-পশ্চিম বরাবর বাংলাদেশের তটরেখার দৈর্ঘ্য সাতশত দশ কিলোমিটার। উপকূলবর্তী অঞ্চলে রয়েছে বাংলাদেশের ঊনিশটি জেলা এবং বসবাসরত অধিবাসীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি। যশোর-খুলনা-সাতক্ষীরা-বাগেরহাট জেলার দক্ষিণে রয়েছে বিশ্ব ঐতিহ্য খ্যাত সুন্দরবন। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সৃষ্ট সমস্যা ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা বৃদ্ধি প্রভৃতি সমস্যার সাথে যুক্ত হয়েছে স্থানীয় সমস্যা। সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে জলাবদ্ধতা, লবণাক্ততা এবং সুন্দরবনের অস্তিত্ব রক্ষার সংকট।
ফলে সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলা অতি ঝুঁকিপূর্ণ।
আইপিসিসি এর রিপোর্ট অনুযায়ী ২০৩০ সালে উপকূল এলাকায় ত্রিশ সেন্টিমিটার সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে উপকূল এলাকার নদণ্ডনদীগুলোতে ইতোমধ্যে ত্রিশ সেন্টিমিটার বা এক ফুটের অধিক জোয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে বিশেষ করে অমাবশ্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারের চাপে উপকূলের বাঁধ উপচিয়ে বা ভেঙ্গে পোল্ডার অভ্যন্তরে পানি ঢুকে জনপদ প্লাবিত করছে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, সাতক্ষীরা জেলার উল্লেখযোগ্য পরিবেশগত সমস্যাগুলো হলো-জলাবদ্ধতা, লবণাক্ততা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, উচ্চ জোয়ার প্রভৃতি সমস্যা। এসব সমস্যার কারণে অনেক এলাকা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এবং সেইসব এলাকা থেকে মানুষজন স্থানান্তরিত হয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। দিন দিন এ প্রবণতা বৃদ্ধি পাঁচ্ছে।
সাতক্ষীরা জেলার উত্তর ভাগে জলাবদ্ধতার প্রকোপ বেশি আর দক্ষিণ ভাগে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত আঘাত বিশেষ করে ঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং উচ্চ জোয়ারের চাপ বেশি। এর সাথে রয়েছে লবণাক্ততার তীব্রতা এবং নতুন করে যুক্ত হয়েছে বর্ষাকালে খরা সমস্যা। সাতক্ষীরা জেলার প্রধান তিনটি নদী ইছামতি, বেতনা ও কপোতাক্ষ নদ। উপরে মাথাভাঙ্গা নদীর মাধ্যমে পদ্মা প্রবাহের সাথে যুক্ত। বেতনা ও কপোতাক্ষ নদ দেড়শত বছর আগে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে সাতক্ষীরা অঞ্চলে এখন আর পদ্মা প্রবাহের কোন পানি আসে না। ইছামতি নদীতে বর্ষাকালে সামান্য কিছু পানি পাওয়া যায়। মিষ্টি পানির প্রবাহ হ্রাস পাওয়ায় এলাকায় লবণাক্ততার তীব্রতা বৃদ্ধি পাঁচ্ছে।
অন্যদিকে নদীতে পলি জমার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। বলা বাহুল্য সুন্দরবনের বিপর্যয়ের মূল কারণ উজান প্রবাহের বিচ্ছিন্নতা। ১৯৬০ সাল থেকে পোল্ডার ব্যবস্থার মাধ্যমে এলাকার মূল নদীগুলোকে বিল খাল থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। পূর্বে জোয়ারে আগত পলি বিলে অবক্ষেপিত হতো এখন তা অবক্ষেপিত হয় নদীবক্ষে। এভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে এবং জীবিত প্রাণদায়িনী নদীগুলো একের পর এক মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে। প্রায় ষাট বছর পূর্বে নির্মিত উপকূলীয় বাঁধ সংস্কারের অভাবে নিচু, ভঙ্গুর ও দূর্বল হয়ে পড়েছে। উচ্চ জোয়ার এবং জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলায় বাঁধগুলোর সক্ষমতা যথেষ্ট নয়। সিডর, আইলা, নার্গিস, মহাসেন প্রভৃতি প্রলয়ংকরী জলোচ্ছ্বাসের তান্ডবে এলাকায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, এ এলাকায় আদৌ বসবাস করা যাবে কিনা? এসব প্লাবন প্রতিরোধে সুন্দরবন ও উপকূলীয় বাঁধগুলো মোটেই সক্ষম নয়। অমাবশ্যা ও পূর্ণিমার জোয়ার এবং বর্ষাকালে উপরের পানির চাপেও বাঁধগুলো ভেঙে বা উপচে এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পোল্ডার পূর্বে যেসব এলাকা জোয়ার দ্বারা প্লাবিত হতো না এমন অনেক জায়গায় এখন জোয়ার দ্বারা প্লাবিত হয়। এতে এটি প্রমাণিত হয় যে, সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাতক্ষীরা অঞ্চল চিংড়ী চাষের জন্য বিখ্যাত। এলাকার প্রায় ৪০ ভাগ জমিতে চিংড়ী চাষ করা হয়। চিংড়ী ঘেরে পানি তোলার জন্য বাঁধে পাইপগেট বসানো হয়। বাঁধের উপর স্থাপিত পাইপগেটের উপর দিয়ে জলোচ্ছ্বাস, উচ্চ জোয়ার বা উপরের বর্ষার পানি সহজেই জনপদে ঢুকে পড়ে। ঘেরে নদীর পানি উঠানোর দরুণ খালগুলো পলি দ্বারা ভরাট হয়।
ঘেরের নোনা পানির প্রভাবে মাটি, গাছপালা, পুকুর, ঘরবাড়ি সব লবণাক্ত হয়ে পড়ায় পরিবেশের ব্যাপক বিপর্যয় ঘটে। গবাদি পশুর বিচরণ ভূমি হ্রাস পায় এবং দেখা দেয় খাদ্য সংকট।
ভূ-গর্ভস্থ পানিতে লবণাক্ততার তীব্রতা বৃদ্ধি করে সুপেয় পানির সংকট আরো তীব্র করে তোলে। ঘের এলাকার ভূ-প্রকৃতি শুষ্ক, রুক্ষ এবং বিবর্ণ হয়ে পড়ে।
সাতক্ষীরা জেলার দক্ষিণ ভাগে সুপেয় পানির বড় ধরণের সংকট রয়েছে। উজান বিচ্ছিন্নতা, চিংড়ী চাষ এবং খরার কারণে এ সমস্যার তীব্রতা বৃদ্ধি পাঁচ্ছে। অধিকাংশ মিষ্টি পানির আঁধার যথা খাল-বিল-জলাশয়, দিঘী-পুকুর মৎস্য চাষে ব্যবহৃত হচ্ছে।
সাম্প্রতিককালে নতুন সমস্যা বর্ষাকালে খরা দেখা দিচ্ছে। এ এলাকার সাধারণ তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রী তা এখন ৪২ ডিগ্রীতে এবং শীতকালে সর্ব নিম্ন ১১ ডিগ্রী এখন তা ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। অতিরিক্ত তাপদাহ, বর্ষাকালে বর্ষা না হওয়া, ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর হ্রাস পাওয়া প্রভৃতি কারণে এলাকার ষড়ঋতু চক্রে বিভিন্ন ধরণের বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।
সমুদ্র সৃষ্ট ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও উচ্চ জোয়ার মোকাবেলায় সুন্দরবন প্রতিরক্ষার ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর বিশাল খাদ্য ভান্ডার এবং প্রজনন ও বিচরণের অভয়ারণ্য হলো সুন্দরবন। জনপদের মানুষের জীবিকা ও ইকোলজি সুরক্ষায় সুন্দরবনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পলি ভরাট ও তীব্র লবণাক্ততার কারণে সুন্দরবনের সে সক্ষমতা এখন আর নাই। পলি জমে সুন্দরবনের নদী খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে, শ্বাসমূল আচ্ছ্বাদিত হয়ে শ্বসনকাজ ব্যাহত হচ্ছে এবং গাছপালা এবং বিভিন্ন প্রাণীর জীবন যাপনে লবণাক্ততার বিরুপ প্রভাব দেখা দিয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে।
জলাবদ্ধতা ও পরিবেশ সমস্যা মোকাবেলায় ৬টি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। প্রস্তাবনাগুলো হলো-
১. টিআরএম বাস্তবায়ন: বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ এর নির্দেশনা অনুযায়ী বেতনা অববাহিকায় টিআরএম বা অবাধ জোয়ারাধার বাস্তবায়ন এবং কপোতাক্ষ অববাহিকায় বন্ধ হয়ে যাওয়া টিআরএম অনতি বিলম্বে চালু করা।
২. অবাধ নদী সংযোগ: ইছামতির নদীর সাথে সাপমারা ও লাবণ্যবতী নদীর অবাধ সংযোগ প্রদান করা।
৩. উজান সংযোগ: পদ্মাপ্রবাহের সাথে কপোতাক্ষ ও বেতনা নদীর সংযোগ স্থাপন।
৪. উপকূলীয় বাঁধ সুরক্ষা: ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় বাঁধ সমূহ উঁচু ও মজবুত করে পুননির্মাণ করা।
৫. সুপেয় পানির ব্যবস্থা: এলাকায় সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা। পুকুর দিঘী খাল বিল থেকে মৎস্য চাষ অবমুক্ত করা এবং নতুন করে আরও দিঘী পুকুর খনন করা।
৬. চিংড়ী চাষ নিয়ন্ত্রণ: অপরিকল্পিত নোনা পানির চিংড়ী চাষ নিয়ন্ত্রণ করা। মিষ্টি পানির মৎস্য চাষের প্রচলন ঘটানো বা নোনা পানির চিংড়ী চাষ সীমিতকরণ প্রভৃতি।
কেন্দ্রীয় পানি কমিটির সভাপতি এবিএম শফিকুল ইসলাম বলেন, এ এলাকার নদণ্ডনদী না বাঁচলে এবং উপকূলীয় বাঁধগুলো সুরক্ষা করা না গেলে এলাকায় বসবাস করা সম্ভব হবে না। নদী বাঁচলে এলাকার জলাবদ্ধতা ও সকল ধরণের পরিবেশ সমস্যা মোকাবেলা সহজ হবে।
জনগণের দাবীসমূহ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
প্রসঙ্গত; সাতক্ষীরাকে ড্রেনেজ জট ও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে আইডব্লিউএমের পরামর্শ সত্ত্বেও বেতনা-মরিচাপ নদী অববাহিকায় টিআরএম বাস্তবায়নের ধারণা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রত্যাখ্যান করেছে। ফলে বেতনায় নদীতে বাহিত পলি জমে জনদুর্ভোগ নিরসনে সরকারের গৃহীত ৪৭৫ কোটি ২৬ লাখ ১৪ হাজার টাকার ৪ বছর মেয়াদী প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে যে, মারিচ্চাপ অববাহিকায় সরকার কতটা আশা করেছিল এবং নদীর ভবিষ্যত কী হবে?
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে সাতক্ষীরা, খুলনা ও যশোর এই তিনটি জেলায় প্রায় ৬০ লাখ মানুষ বসবাস করে। জোয়ারভাটা নদী এই অঞ্চলের জীবনের প্রধান উৎস। জোয়ার-ভাটার পার্থক্যকে কাজে লাগিয়ে সমাজ ও সভ্যতা গড়ে উঠেছে। এই জলাবদ্ধতা বিপর্যয়ের প্রধান প্রভাব মানুষের জীবন, জীবিকা, কৃষি এবং বাস্তুতন্ত্রের উপর। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল গত চার দশক ধরে এই জলাবদ্ধতা সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে। এই জলাবদ্ধতার কারণে শহরাঞ্চলের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। সরকার জলাবদ্ধতার পরিস্থিতি কমাতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যদিও এই উদ্যোগগুলি সাধারণত অকার্যকর কার্যক্রম যেমন-স্লুইস গেট রক্ষণাবেক্ষণ, নদী ও খাল পুনঃখনন, এবং বাঁধ পুনর্বাসনের উপর ফোকাস করে। সরকার একাধিকবার এ উদ্যোগ নিলেও কোনো ফলপ্রসূ ফল না পাওয়ায় এসব কর্মকাণ্ড জলাবদ্ধতা সংকটকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এ ধরনের প্রকল্প বাস্তুতন্ত্রকে ধ্বংস করে প্রতিবছর নতুন নতুন এলাকায় জলাবদ্ধতা ছড়িয়ে পড়ছে বলে এলাকার স্থানীয়দের ধারণা।
সাতক্ষীরা পৌরসভার জিএম মনিরুল ইসলামের মতে, বেশিরভাগ জনসংখ্যা জলাবদ্ধতার শিকার হয় এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা আবর্জনা এবং বর্জ্য দিয়ে আটকে থাকে, যা নিষ্কাশন ব্যর্থতার দিকে পরিচালিত করে। ফলে জলাবদ্ধতা সঙ্কটে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শহুরে বস্তির বাসিন্দাদের।
সাতক্ষীরা জেলার সাতক্ষীরা পৌরসভা, আশাশুনি, দেবহাটা, তালা ও কালোয়ারা উপণ্ডজেলাগুলো জলাবদ্ধতার সমস্যায় ভুগছে বলে দাবি করেন নাগরিক নেতা অ্যাডঃ আজাদ হোসেন বেলাল। তিনি বলেন, অত্যধিক অবক্ষেপণের ফলে বেতনা-মারিচ্চাপ, সাপমারা এবং লাবন্যবতি নদী মরে গেছে। প্রতি বছর, এই স্থানগুলি প্রায় ৬ থেকে ৮ মাস ধরে ডুবে থাকে। উপরন্তু, এই এলাকার প্রাকৃতিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা পলি-ভরা নদী দ্বারা অবরুদ্ধ করা হয়েছে, যা বর্ষা মৌসুমে গ্রামবাসীর বাড়িঘর এবং মাছের খামারকে প্লাবিত করে। তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন যে, এই জলাবদ্ধতা জনগণকে কৃষিকাজে জড়িত হতে বাঁধা দেয়। এর পাশাপাশি, স্যানিটেশন ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে এবং অনেক ব্যক্তি বিভিন্ন জলবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় পানি কমিটির সভাপতি বলেন, বেতনা-মারিচ্চাপ নদী বাঁচাতে সরকার ৪৭৫ কোটি ২৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। এই প্রকল্পের ফলপ্রসূ ফলাফল অর্জনের জন্য আইডব্লিউএম নদী অববাহিকায় টিআরএম অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এই কারণে, জল ও নদী বিশেষজ্ঞরা ভাবছেন যে এই প্রকল্পটি কতটা উপকারী ফলাফল দেবে৷ তিনি জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রকল্পটির জন্য জনসাধারণের আকাক্সক্ষাকেও তুলে ধরেন এবং কার্যকর নদী অববাহিকা ব্যবস্থাপনার জন্য নদী অববাহিকায় টিআরএম অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ করেন। তিনি জলাবদ্ধ লোকদের পক্ষে বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ অনুযায়ী পোল্ডার নং ১, ২, ৬-৮, এবং ৬-৮ এক্সটেনশনে জলাবদ্ধতার পরিস্থিতি কমাতে টিআরএম কার্যকর করার জন্য আইডব্লিউএম-এর কাছে অনুরোধ করেন।